২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নেওয়া ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরতের রায় প্রকাশ

আলোচিত এক-এগারো (১/১১) পরবর্তী সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। ফলে ওই অর্থ এখন ব্যবসায়ীদের ফেরত দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে।

৮৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

গত ১৬ মার্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে চূড়ান্ত রায়টি দেন সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা আবেদন খারিজ করে
দেন।

এই রায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম জানান, যারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তারা তাদের অর্থ ফেরত পাবেন। তবে কিভাবে এবং কত দিনের মধ্যে তারা অর্থ ফেরত পাবেন, আদালতের বিস্তারিত রায়ে সে বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, এতোগুলো টাকা সরকার কোথা থেকে ফেরত দেবে, তা চিন্তার বিষয়। এখন সরকার যদি রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে রিভিউ হবে।

বিভিন্ন সূত্র মতে, ওই সময়ে ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকার বেশি নেওয়ার খবর প্রকাশিত হলেও হাইকোর্টে কেবল ১১টি রিট করা হয়। যারা রিট করেন, এখন কেবল তারাই এ সুবিধা পাবেন। ওই ১১টি রিটের বিপরীতে মোট অর্থ হলো ৬১৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত জরুরি অবস্থার সময়ে প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক হাজার ২৩২ কোটি টাকা আদায় করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ টাকা দুই শতাধিক পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ০৯০০ নম্বর হিসেবে জমা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করে টাকা দেওয়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এরপরে ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট তাদের অর্থ তিন মাসের মধ্যে ফেরতের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এদিকে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপিল করলে তা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।