মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
অবশেষে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ’কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যাকান্ডে গঠিত কমিটি বুধবার ৫ আগস্ট সকালেই তাকে টেকনাফ মডেল থানা থেকে তদন্তের স্বার্থে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি’র কাছে সুপারিশ করে। সুপারিশের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রেরণ করা হয়। একইসাথে ফোনেও বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তার প্রেক্ষিতে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে বুধবার ৫ আগস্ট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিষয়টি বিশ্বস্ত সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে নিজে অসুস্থতা দেখিয়ে প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গত ৪ আগস্ট ছুটিতে যান। একইদিন টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি’র দায়িত্ব নেন।
প্রসঙ্গত, মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামী করা হয়েছে। মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বুধবার ৫ আগস্ট টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফৌজদারি দরখাস্ত দায়ের করেন। যার নম্বর : সিআর ৯৪/২০২০। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারাহ্ বাদীর দায়েরকৃত ফৌজদারি দরখাস্তটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। একই সাথে বিশেষায়িত বাহিনী র্যাব-১৫ কে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। টেকনাফ মডেল থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অনুযায়ী মামলাটি গ্রহন করার সাথে সাথে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী মামলার ৯ জন আসামীর বিরুদ্ধে আপনাআপনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। মামলার এজাহারভুক্ত ৯ জন আসামির মধ্যে প্রদীপ কুমার দাশ ছাড়া বাকী ৮ জনই এখন পুলিশ লাইনে রয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।