২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

তরুণরা আর খবরের কাগজ পড়েই না: জয়

আওয়ামী লীগের সাংসদদের নিয়ে একটি কর্মশালায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তরুণরা এখন খবরের জন্য সোশাল মিডিয়ার ওপরই নির্ভর করে।

“শুধু মানুষের কাছে শুনে না, আমরা জরিপ করে দেখেছি যে আমাদের তরুণরা কিন্তু আর খবরের কাগজ পড়েই না। এটা একদিক দিয়ে আমাদের জন্য ভালো, কারণ খবরের কাগজে শুধু আমাদের সুশীল বাবুদের মতামতই দেখা যায়। লাকিলি তরুণরা ওগুলো পাত্তা দেয় না,” বলেন জয়।

রোববার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

‘সরকারবিরোধী অপপ্রচারের’ জবাব দিতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়।

তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ আজকে আমরা বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। এটা আমার স্বপ্ন ছিল… । ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় সাফল্য অর্জন করায় আমাদের দেশের প্রায় ছয় কোটি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আজকে ফেইসবুকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যা বাড়ছে বাংলাদেশে। এটা ফেইসবুক নিজেই বলে।”

জয় বলেন, বয়োজ্যোষ্ঠদের তুলনায় তরুণরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারে এগিয়ে আছে।

“সোশাল মিডিয়া, জানি এই শব্দ শুনলে অনেকে হয়তো একটু ভয় পান, যারা সিনিয়র। যারা জুনিয়র- আপনারা এটাতে অভ্যস্ত। আমার চেয়েও বেশি ওস্তাদ।”

এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দিকে ইংগিত করে হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, “পলকের সাথে তো পারিই না। দিনে যে পরিমাণ ফেইসবুক পোস্ট দেয়, ওর সাথে কেউ কুলিয়ে পারে না।”

তরুণদের সাম্প্রতিক প্রবণতা তুলে ধরে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয় বলেন, “তরুণরা টেলিভিশন দেখে। তবে সবচেয়ে বেশি খবর তারা পায় সোশাল মিডিয়া থেকে। সোশাল মিডিয়াতেই তারা বেশি অংশগ্রহণ করে। সেজন্যই সোশাল মিডিয়াটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের দিনে অন্তত দুই-তিনটি পোস্ট দেওয়ার আহ্বান জানান জয়। যারা সোশাল মিডিয়া ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ নন, তাদের প্রয়োজনে পিএস এর মাধ্যমে কাজটি করানোর পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, “দেশের জন্য তো কাজ করছি, আর সোশাল মিডিয়াতে যদি প্রচারের কাজটা চলমান রাখি তাহলে শুধু আজকের ভোটার না, ভবিষ্যতের তরুণ ভোটাররাও আওয়ামী লীগ হয়ে থাকবে।”

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।