২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

তামাক নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা জরুরি

উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় তামাক। হৃদরোগ, স্ট্রোক, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ (সিওপিডি, এজমা), ডায়বেটিসসহ প্রাণঘাতী বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দিনব্যাপী সম্মেলনে এ মতামত ব্যক্ত করেন দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর নবগঠিত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, তামাক বিরোধী বেসরকারি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত মঞ্চ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে ১৩০টি সংগঠনের প্রতিনিধি ও ৫০ জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী। বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আবদুল মালিক।

অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ডা. আবুল মালিক বলেন, অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান ও তামাক সেবন। এটি মানবদেহে নানা ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়বেটিসের মত মরণব্যাধি সৃষ্টি করছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। সে লক্ষে সরকারকে কাজ শুরু করতে হবে। তার আগে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে হবে। সরকারের কাজে সহযোগিতার জন্য গণমাধ্যম ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে সব চাইতে কম মূল্যে তামাকজাত দ্রব্য কিনতে পাওয়া যায়। ফলে দরিদ্রদের মধ্যে তামাকের ব্যবহার বেশি। এজন্য তামাকের উপর কর বাড়াতে হবে। আসন্ন বাজেট অধিবেশনে যেন তামাকের কর যেন বাড়ানো হয়, সেজন্য সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট উপদেষ্টা আবু নাসের খান। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ।

সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান ও সম্মেলনের ঘোষণা পাঠ করেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট মুখপাত্র আমিনুল ইসলাম সুজন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।