কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে জাফর আলম তিন দিন পর মৃত্যু বরণ করেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন।
জাফর আলম টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ লেদার আলীখালী এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে।
গত শনিবার সকালে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ে গরু চড়াতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল জাফর আলম।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছিলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে গরু নিয়ে জাফর পাহাড়ে যান। যেতে যেতে তিনি রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত কামালের দলের আস্তানার কাছাকাছি পৌঁছান। এ সময় তাঁর গরু ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য মোহাম্মদ রফিকসহ আরও ছয়-সাতজন চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে জাফর আলমকে লক্ষ্য করে তাঁরা গুলি চালান। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে কোনো রকম সেখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে আসে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন একটি এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকে উন্নত চিকিৎসার তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশকে পরিবারের পক্ষে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার। তিনি জানান, মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে কক্সবাজার আনার প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের এজাহার পাওয়া প্রেক্ষিতে মামলা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।