বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক কামরুল হুদা বলেন, “সোমবার উপাচার্যের নির্বাহী আদেশে আনোয়ার হোসেনকে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
ওই পদে নতুন করে কাউকে এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে জানান রেজিস্ট্রার।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী এক সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটের বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর তার অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করে, টেন্ডার নিয়ে জটিলতার জেরে দিয়াজকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগের অপর একটি গ্রুপকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। কিন্তু ২৩ নভেম্বর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে সহকারী প্রক্টর আনোয়ারের অপসারণ এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সচেতন ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কর্তৃপক্ষ আনোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহারের পর ওই অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শোভন শুভ জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।