২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

দুর্গোৎসবে হামলা করে সাম্প্রাদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি চেষ্টার ‘ছক’ এঁকে ছিল কাউন্সিলর এহসান

.১০ দিনের রিমান্ড আবেদন,  কারাগারে প্রেরণ
. রয়েছে ডজন খানেক মামলা সহ শতাধিক অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহ চলমান দুর্গাপূজার উৎসবে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং পূজা মণ্ডপ ও পূজারীদের ওপর হামলা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছিলেন। এই অপচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি কৌশলে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘি পাড়ের পূজামন্ডপ এলাকায় অবস্থান করেন। পূজার কয়েক দিন আগে এই পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। শনিবার (১২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে যৌথ বাহিনী।
অন্যদিকে শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বহুল বিতর্কিত সাবেক কাউন্সিলর ও দাগী সন্ত্রাসী এহসান উল্লাহকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। একই সাথে আইনজীবির মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন এহসান উল্লাহ। তবে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এহসানুল ইসলাম। তবে রিমান্ড শুনানি করা হয়নি।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘি পাড় এলাকা থেকে সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহকে আটক করে যৌথবাহিনী। ওই দিন রাতেই কড়া পাহারায় তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজীম নোমান জানান, এহসান উল্লাহ ৪ আগস্ট ২৪ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ এর সাথে জড়িত ছিল এবং হামলায় অস্ত্র যোগানোর অভিযোগ রয়েছে। এঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে যৌথবাহিনীর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বহু অপকর্মের হোতা। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসা, ভুমিদখলসহ ১০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মামলা ও শতাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিতর্কিত সাবেক এই কাউন্সিলরের গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।