২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

মহাখুশি ফেরত আসা ১৫০ বাংলাদেশি

Ukhiya Pic 08-
সাগরে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমারের সীমান্ত উপকুল থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫০ জন বাংলাদেশী অভিবাসীকে  সোমবার দুপুর দেড়টায় দু’দেশের বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠক শেষে ফেরত পাঠিয়েছে মিয়ানমার। তারা ২১ মে সাগরপথ দিয়ে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে মিয়ানমার নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের হাতে আটক হয়ে দীর্ঘ ১৭ দিন কারাভোগ করেছে। অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারস্থ বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খালেকুজ্জামান পিএসসি। মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ১০ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করেন সেদেশের বর্ডার গার্ড পুলিশের ডেপুটি ডিরেক্টর সো নাইং। উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ১নং সেক্টরের কমান্ডিং অফিসার লে: কর্নেল কই তুইজা মংথোয়াই, ১নং সেক্টরের টোয়াইসি মিউসু, পুলিশের ডিরেক্টর ইউ সু কু কু। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়াস্থ ১নং বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ব্যাটেলিয়ান হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষ হয় দুপুর দেড়টায়। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সীমান্ত সমস্যা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা শেষে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া বিজিবি প্রতিনিধি দলের হাতে ১৫০ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মিয়ানমার পুলিশ ৩০ জন করে অভিবাসী সীমান্তের জিরো পয়েন্ট লাল ব্রিজ অতিক্রম করে বিজিবির হাতে তুলে দিলে বিজিবি তাদের সাথে সাথে কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে তাদের জন্য ভাড়া করা যানবাহনে তুলে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এ সময় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রেস বিফ্রিংকালে বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খালেকুজ্জামান বলেন, সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল ১৫০ বাংলাদেশী অভিবাসীকে হস্তান্তর করেছে। বাকী ২৭ জন অভিবাসীকে যাচাই বাছায়ের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে তারা যদি বাংলাদেশী নাগরিক হয়, তাহলে তাদেরকেও ফেরত আনার প্রক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া ১৫০ বাংলাদেশী অভিবাসীকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কক্সবাজার পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হবে। পরে পুলিশী আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর অভিবাসীদের নিজ ঠিকানা অনুযায়ী সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা অভিবাসীদের প্রত্যেককে খাদ্য ও মানবিক সেবা দেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উদ্ধার পরবর্তী ফেরত আসা অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার জেলার ৩৪ জন, নরসিংদী জেলার ৫৫ জন, চট্টগ্রামের ৮ জন, বান্দরবানের ১০ জন, ঝিনাইদহের ১২ জন, পাবনার ৫ জন, চোয়াডাঙ্গার ৪ জন, বাগেরহাটের ৪ জন, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ৬ জন, সুনামগঞ্জের ৪ জন, নারায়ণগঞ্জের ২ জন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, যশোরের ২ জন, কুমিল্লার ১ জন জন ১৫০ জন। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোছাইন, কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম, উপ-অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার, কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মাহফুজুর রহমান, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোবারক হোছন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।