শুক্রবার কলকাতার টাউন হলে প্রশাসনিক বৈঠকের পর নোট বাতিল ইস্যুতে ফের নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কেন্দ্রে ‘জাতীয় সরকার’ বা ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ‘জাতীয় সরকার’-এর মাথায় যদি বিজেপির প্রবীণ এমপি লালকৃষ্ণ আদভানি বা রাজনাথ সিং বা অরুণ জেটলিজি কেও বসানো হয়, তাতেও তৃণমূলের কোনো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীকে পদত্যাগ করতেই হবে”।
তিনি বলেন, “নোট বাতিলের ফলে গত দু’মাসে আমাদের ৫৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের ১.৭ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। চা, জুট, গয়না বিভিন্ন শিল্পে সব মিলিয়ে ৮১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। কৃষকরা রবি শস্য চাষ করতে পারছেন না এর ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে। মানুষের কাছে যখন নগদ টাকা নেই তখন ওরা ক্যাশলেস অর্থনীতি চালু করছে।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “দেশে এখন কোনও সরকার নেই। গণতান্ত্রিক অধিকারের উপরে বুলডোজার চালানো হয়েছে। দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হচ্ছে। দেশ চালানোর নামে শুধুই সন্ত্রাস আর হল্লাবাজি চলছে। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে গায়ের জোরে রাজ্যে সিআরপিএফ নামিয়ে দিচ্ছে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এটা একটা সাংঘাতিক খেলা”।
তাঁর বক্তব্য “ভুলে যান কে কোন রাজনৈতিক দল করেন, দেশের স্বার্থে সকলে একত্র হয়ে সরকার গঠন করতে হবে। দেশকে সর্বনাশের হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে জাতীয় সরকার গঠন করা হোক। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করছি দেশটাকে বাঁচান। রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে আমাদের উচিত কমন মিনিমাম এজেন্ডা বানিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা”।
মোদীকে ‘কালীদাস’ বলেও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ডালে বসে আছেন সেই ডালই কেটে ফেলছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।