দৈনিক সৈকতের নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা প্রধান আনছার হোসেনের মা মনোয়ারা বেগম (৫৫) আর নেই। তিনি গতকাল সোমবার গভীর রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ইন্তেকাল করছেন। (ইন্নালিল্লা…… রাজেউন)। তাঁর মৃত্যুতে শহরের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল হোসেনের সহধর্মিনী মনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে ক্যান্সার রোগে ভোগছিলেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার্থে চট্টগ্রাম ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আল্লাহ তা’আলার সান্নিধ্যে পাড়ি জমান তিনি।
মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর শহরের উত্তর নুনিয়াছড়াস্থ মরহুমার বাড়িতে ভিড় জমান আতœীয় স্বজনরা। এসময় মরহুমার ছেলে-মেয়ে ও আপনজনদের গগণবিদারী কান্নায় যেন আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে। পাড়া-প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষের চোখেমুখেও দেখা গেছে শোকের ছায়া। অতি আপনজন হারানোর শোক সংবরণ করতে না পেরে নিজের অজান্তে সকলের দু’আঁখি দিয়ে টপ টপ করে পড়তে থাকে অবারিত অশ্রু। নিমিষেই উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকা যেন অনাবিল শোকের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়।
মরহুমার মৃত্যুর সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক মহল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া। শোকের আবহের মধ্যে সকালে লাশবাহী গাড়ী নিয়ে মরহুমার মরদেহ যখন বাড়ীতে আনা হয় তখন আপনজন, আত্মীয় স্বজনদের পাশাপাশি সকলকে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে দেখা গেছে। সকাল থেকেই শোকার্ত মানুষের ঢলে পরিণত হয় উক্ত এলাকা।
জোহরের নামাজের পর উত্তর নুনিয়াছড়াস্থ রড় কবরস্থানের সামনে মরহুমার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন উত্তর নুনিয়াছড়া জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোঃ হোসাইন। জানাযায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল, দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহবুবর রহমান, প্রবীণ সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, আব্দুল কুদ্দুস রানা, মমতাজ উদ্দিন বাহারী, জাহেদ সরওয়ার সোহেলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবীসহ কয়েক হাজার শোকার্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে মরহুমাকে উত্তর নুনিয়াছড়াস্থ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে মরহুমা ৪ ছেলে ২ মেয়েসহ অসংখ্য নাত-নাতনী ও আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
আগামী শুক্রবার মরহুমার চেহলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মহুমার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দৈনিক সৈকত পরিবারের শোক ঃ দৈনিক সৈকতের নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা প্রধান আনছার হোসেনের মা মনোয়ারা বেগমের (৫৫) ইন্তেকালে গভীরভাবে শোকাহত দৈনিক সৈকত পরিবার। দৈনিক সৈকতের সম্পাদক, সাংবাদিকবৃন্দ, উপজেলা প্রতিনিধি, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তার স্নেহময়ী মায়ের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে সৈকত পরিবার বলেন মরহুমা মনোয়ারা বেগম ছিলেন ইসলামী মতাদর্শে বিশ্বাসী একজন ধার্মিক ও পর্দানশীল মহিলা। একাধারে মরহুমা যেমন ছিলেন সমাজ সেবিকা অপরদিকে ঠিক তেমনি ছিলেন নৈতিক চরিত্রের অধিকারী ও সকলের শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবিকা। তার মৃত্যুতে শুধু শহরের মানুষই নয় জেলাবাসী একজন রতœাগর্ভা মা’কে হারালো বলে মনে করেন সৈকত পরিবার।
বিবৃতিতে সৈকত পরিবার অসম ফজিলতময় মাস পবিত্র রমযানের মাগফিরাতের শেষাব্দিকালে পরকালে পাড়ি জমানো আদর্শময়ী মা’কে যেন জান্নাতুল ফেরদৌসে আসীন করেন তার জন্যে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করা হয়। বিবৃতিতে সৈকত পরিবার মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি ও গভীর সমবেদনা জানান।
বিবৃতি দাতারা হলেন, দৈনিক সৈকত সম্পাদক ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবর রহমান, যুগ্ন বার্তা সম্পাদক জসীম উদ্দিন কাঞ্জরী, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আমান উল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার ও ঈদগাঁও অফিস প্রধান মোঃ মিজানুর রহমান আজাদ, টেকনাফ প্রতিনিধি মোঃ নুরুল হক, রামু প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম সেলিম, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল হামিদ ও জয়নাল আবেদীন টুক্কু, হ্নীলা প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন, চকরিয়া প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম খোকন, মহেশখালী প্রতিনিধি আবদুর রশিদ, ঈদগড় প্রতিনিধি জাফর আলম জুয়েল, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার মোঃ মোস্তফা, কম্পিউটার অপারেটর হাসান মুরাদ, অফিস সহকারী মোঃ আলমগীর, কামাল উদ্দিন ও মোঃ ফারুক।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।