ধর্ষণের ভয়ে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শালের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। পরে ওই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। শালের হাট গ্রামের মাসুমা বেগম তার মেয়েকে দুদিন ধরে স্কুলে পাঠান না। তিনি জানান, স্কুলের পরিবেশ ভালো না। শিক্ষক যদি ধর্ষক হয় কী করে মেয়েকে স্কুলে পাঠাই। ওই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তার জানায়, সে ভয়ে স্কুলে যায় না। একই সুরে তার বড়ভাই দশম শ্রেণির ছাত্র শামিম পারভেজ বলেন, শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেরাও স্কুুলে যায় না। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আনছুরা আক্তার জানায়, স্যার খারাপ, এ জন্য তার মতো সবাই স্কুলে যায় না।
অভিভাবকদের অভিযোগে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল হালিমের কুর্কীতির জন্য তারা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আবদুল হালিম ছাড়া সব শিক্ষক আছে। তবে একজনও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল না স্কুলে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। সহকারী শিক্ষক আবদুল হালিমের বিষয়ে তিনি জানান, অসুস্থজনিত কারণে ওই শিক্ষক চার দিনের ছুটি নিয়েছেন।
সহকারী শিক্ষক আবদুল হালিমকে স্কুলে ও তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী রিক্তা পারভীন বলেন, এসব গুজব ও ষড়যন্ত্র। তিনি দাবি করেন, তার স্বামী সৎ চরিত্রবান। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আক্তার বলেন, তিনি এসব ঘটনা জানেন না।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।