২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

ধান চাষ করে নৌকায় চড়া উখিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার:

উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নে বিএনপির ধান চাষ করে আওয়ামী লীগের নৌকাতে চড়ার মতো আচরণের কারণে সময়ের সাথে ভোল পাল্টানো লোক হিসেবে খাইরুল আলম চৌধুরী’র অপকর্মের বিরুদ্ধে অবশেষে রুখে দাঁড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

অপহরণের পর পাহাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে খাইরুল আলম চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (উখিয়া) এর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দায়ের করা এই মামলার বাদী রত্মাপালং ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলম।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, মোঃ আলম ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভালুকিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যান।
কেন্দ্রে প্রবেশ করলে সেদিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদির স্ত্রী শাহীন আক্তারকে জেতাতে ‘ভোট ডাকাতি’তে মরিয়া থাকা খাইরুল আলম চৌধুরীর হেনস্তা ও লাঞ্চনার শিকার হন মামলার বাদী।
পরে খায়রুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা (অপরাপর আসামী) আলমকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী থিমছড়ি পাহাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক মারধর ও শারীরিক নির্যাতন চালায়।
সেসময় কোনো রকম প্রাণে বাঁচলেও সরকারী চিকিৎসা সনদ না পাওয়ায় আলম নিতে পারেননি আইনি পদক্ষেপ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ” মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়েছেন, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাইরুল আলম চৌধুরী বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির সাথে তিনি শুরু করেছিলেন রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তৎকালীন সময়ে উখিয়া উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি পদ সামলানোর পাশাপাশি দলটি সরকারে থাকাকালীন তিনি ছিলেন প্রথম সারির দাপুটে নেতা।
গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামীলীগের প্রতাপশালী নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে “সরকার যেটি আসে আমাকে তার সাথে থাকতে হবে” প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দিয়ে তিনি নিজের দ্বিচারিতাকে জাহির করেছিলেন। এটা নিয়ে পুরো উখিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা বয়ে গেছিল।
বিএনপি নেতা হইয়েও তিনি ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করতে বিএনপির সাথে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এই মানুষটির ভয়ংকর ক্ষমতার সাক্ষী হয়েছে পুরো উখিয়াবাসী। ইয়াবা মাফিয়া খ্যাত সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির আস্থাভাজন হয়ে দেখা গেছে বীরদর্পে ক্ষমতা চালিয়েছিলেন সর্বত্রে। এমন কি বদির বদৌলতে ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি ২০১৮ সালে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন অপরাধে আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গনহারে মামলা দায়ের করা হলেও এই উভয়মুখী নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায়নি কাউকে। গত ৪ ই সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ির করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।