২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২২ রজব, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক   ●  অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার   ●  হলদিয়া বিএনপি উত্তর শাখার সাংগঠনিক পদে প্রার্থীতা করবেন মোহাম্মদ হেলাল 

নাইক্ষ্যংছড়িতে ২২শত একর জায়গার মালিকানা নিয়ে মৌজা হেডম্যান-বন বিভাগ দ্বন্ধ

পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২৭৫নং ভাল্লুকখাইয়া মৌজায় সরকারের খাস জেনারেল কবুলিয়ত, আর কবুলিয়ত, হর্টিকালচার প্লট ও বন্দোবস্তি আবেদনের প্রক্রিয়াধীন অন্তত ২২ শত একর জায়গা নিয়ে মৌজা হেডম্যান ও বন বিভাগের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে বন বিভাগের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন ২৭৫নং মৌজাবাসীর পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা হেডম্যান মংশৈফ্রু চৌধুরী।
২৭৫নং ভাল্লুকখাইয়া মৌজা হেডম্যান মংশৈফ্রু চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, চট্টগ্রাম হিলট্যাক্স রেগুলেশন আইন ১৯০০ এর আলোকে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির ভাল্লুকখাইয়া মৌজায় যুগ যুগ ধরে অন্তত ২২শত একর জায়গার তদারকি করে আসছে বোমাং চীফ ও ডেপুটি কমিশনারের নিয়োগকৃত মৌজা হেডম্যান। কিন্তু বিভিন্ন সময় বন বিভাগ হেডম্যানের পরিচালিত মৌজা এলাকায় এসব জায়গা জবর দখল ও মালিকানা দাবী করে ব্যর্থ হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বন বিভাগ সরকারী জায়গা জবর দখল করে গাছ কাটা শুরু করলে গত ৩০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ইং বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন মৌজা হেডম্যান। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ২০ এপ্রিল ২০১৪ইং ঘটনার তদন্তকালে বন বিভাগ তাদের প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র প্রদর্শণ করতে পারেনি। এর পর থেকে বন বিভাগ কিছুদিন ভূমি দখল কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুস সবুর ও বিট কর্মকর্তা কাজী বেলাল হোসেন অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে ২৭৫নং ভাল্লুকখাইয়া মৌজার বরইতলী ছড়া, বামহাতিরছড়া, হাবু হোছইন্নার ঝিরি সহ প্রায় ২শত একর জায়গা জবর দখল কার্যক্রম শুরু করেছে। বন বিভাগের কাজে বাধা দিলে ২৭৫নং ভাল্লুকখাইয়া মৌজা হেডম্যানকে প্রননাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবী করেন হেডম্যান মংশৈফ্রু চৌধুরী।
অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি বন কর্মকর্তা আবদুস সবুর ভূইয়া এই প্রতিবেদককে জানান, ২৭৫নং ভাল্লুকখাইয়া মৌজায় ১৯৮৫ সন থেকে ১৪৪০ একর জায়গা বন বিভাগের অধীনে রয়েছে। এসব জায়গায় তারা সম্প্রতি কাজ করতে গেলে মৌজা হেডম্যান বাধা দেন বলে দাবী করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত কয়েক বছর যাবত ২৭৫নং ভাল্লুকখাইয়া মৌজায় জায়গার মালিকানা নিয়ে ২০০৯ সনে বান্দরবানে সিআর- ১২৬/০৯ একটি মামলা করে নাইক্ষ্যংছড়ি বন বিভাগ। ঐ মামলাটি চার্জশুনানী শেষে বন বিভাগের পক্ষে প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র প্রদর্শন করতে না পারায় আদালত ২৭৫নং ভাল্লকখাইয়া মৌজার পক্ষে জনৈক নুরুল হাকিম গং এর পক্ষে রায় প্রদান করেছিলেন।
বর্তমানে বন বিভাগ পুনরায় জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করায় মৌজার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার আশংখা করছেন স্থানীয়রা। তাই বন বিভাগের কার্যক্রম বন্ধের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মৌজা হেডম্যানসহ স্থানীয় জনসাধারণ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।