কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে নাফ নদ থেকে সাড়ে তিন হাজার পর্যটক টেকনাফে ফিরে এসেছেন।
পর্যটকরা জানায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী ৭টি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে টেকনাফের নতুন জেটি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টাখানিক আটকা থাকার পরে টেকনাফে ফেরত আসে জাহাজগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী এমভি গ্রিনলাইন-১, এমভি আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান, বে-ক্রুজ, কেয়ারি ক্রুজ, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এলসিটি কাজল পর্যটকদের নিয়ে দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে নাফ নদের মাঝপথে আটকা পড়ে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজগুলো ঘণ্টাখানেক আটকা থাকার পর টেকনাফ ঘাটে চলে আসে। তবে জাহাজগুলোতে অতিরিক্তি যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি কর্মকর্তা এক পর্যটক বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজগুলো প্রতিদিন ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরির্দশক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সোমবার সকালে পর্যটকটদের নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজগুলো ছাড়ে। এরপর হঠাৎ করে বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়ায় জাহাজগুলোকে নাফ নদের মাঝপথ থেকে ফেরত আনা হয়েছে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পর্যটকদের নিয়ে তাদের জাহজ দুটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। হঠাৎ করে প্রচণ্ড বাতাস শুরু হলে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য জাহাজগুলো ফেরত আনা হয়। যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোহাম্মদ হোসাইন ও জাহদো পারভীন বলেন, ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব সকালে টেকনাফে পৌঁছে জাহাজ করে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা করি। কিছুদূর যাওয়ার পর নাফ নদের মাঝপথে আটকা পড়ি। পরে জানতে পারি বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিন যাচ্ছে না। দ্বীপে যেতে না পেয়ে আবার কক্সবাজার ফিরে যেতে হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে কোন জাহাজ যেতে দেওয়া হচ্ছে না|। ফলে পর্যটকদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে জাহাজ কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।