এক ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডকে ৮৭ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের শেষ চার নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। কার্ডিফে ইংলিশদের ৪৯.৩ ওভারে করা ৩১০ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২২৩ রানে। তাতে টানা দ্বিতীয় জয় পাওয়া ইংলিশরা ৪ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যায় সেমিফাইনালে।
ইংলিশদের পেস বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলেন লিয়াম প্লাঙ্কেট, এই পেসারের শিকার ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেওয়া জেক বল ও আদিল রশিদও ছিলেন ভয়ঙ্কর। তবে কাজের কাজটা শুরুতেই করে দেন বল। বল হাতে এই পেসার শুরুতেই ফেরান ওপেনার লুক রঞ্চিকে (০), এরপর রস টেলরের (৩৯) গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটাও তার দখলে। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে তার হাতেই।
ইংলিশ বোলারদের দিনে বৃথা গেছে কেন উইলিয়ামসনের অসাধারণ ৮৭ রানের ইনিংসটি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া কিউই অধিনায়কের ৯৮ বলে ৮ বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংসটাই কেবল আশা জাগিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। তিনি ছাড়া দলের আর কোনও ব্যাটসম্যান করতে পারেননি কিছুই। নাইল ব্রুম (১১), জেমি নিশাম (১৮), কোরে অ্যান্ডারসনরা (১০) ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ায়। তাদের ব্যর্থতায় পাওয়া বড় ব্যবধানের জয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
২ ম্যাচ শেষে এউইন মরগানদের পয়েন্ট ৪। ‘এ’ গ্রুপে তাদের মতো বাকি তিন দল অস্ট্রেলিয়া (২), বাংলাদেশ (১) ও নিউজিল্যান্ডও (১) খেলেছে দুটি ম্যাচ করে। পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থা তাতে করে শেষ ম্যাচে ইংলিশরা হারলেও দ্বিতীয় দল হিসেবে চলে যায় সেমিফাইনালে, কারণ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ থাকায় যে কোনও এক দল তুলতে পারবে সর্বোচ্চ ৩ পয়েন্ট। তাই অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ম্যাচে ইংলিশদের হারিয়ে দিলেও তাদের পয়েন্ট ৪-এর বেশি হবে না। সেই হিসাবে এক ম্যাচ হাতে রেখে শেষ চার নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।