জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও নিরক্ষর মুক্ত দেশ গড়ে তোলার ঘোষনা দিয়েছেন। এ ঘোষনাকে বাস্তবায়ন করার অঙ্গিকার করেছেন বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ।
রবিবার বিকেলে রেমাক্রী ইউনিয়ের ছাত্রাবাসে এ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার সোহাগ। এ সময় তিনি ৬০ জন নিরক্ষর পথ শিশুর হাতে শিক্ষা সামগ্রী তোলে দেন।
নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানাতে বান্দরবান জেলায় প্রতিটি গ্রামের অবহেলিত, বঞ্চিত শিশু কিশোরদের নিরক্ষরতা দূর করতে হাতে নিয়েছে নানান কর্মসূচী। বঞ্চিত শিশু কিশোরদের একত্রিত করে তাদেরকে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টিতেও কাজ করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশকে নিরক্ষরতার হাত থেকে মুক্ত করতে এ প্রয়াস অব্যহত রাখার অঙ্গিকারও করেছে এ সংগঠনটি। এলাকায় এলাকায় বঞ্চিত শিশু কিশোরদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ। সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে দরিদ্র বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব। বিত্তবানরা যদি যতটুকু সম্ভব এ দায়িত্ব বহন করে তাহলে দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি নিঃসন্দেহে। তাই সমাজের সচেতন মহল যদি এ ধরনের কার্যক্রমে এগিয়ে আসেন তাহলে বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অঙ্গিকার করেছি। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নিরক্ষর মুক্ত দেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবো। তাই বর্তমানে দেশের প্রায় জেলা ও উপজেলায় নিরক্ষর শিশু কিশোর ও বয়স্কদের অক্ষরদান কর্মসূচীর কাজ চলছে। আশা করছি সকলের সহযোগিতা পেলেই আমরা আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবো এবং অচিরেই বাংলাদেশ নিরক্ষরতার হাত থেকে মুক্তি পাবে। এসময় বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশীষ বড়ুয়া বলেন প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দারিদ্রতার হাত থেকে রক্ষা করতে নানান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলছে এরই অংশ হিসেবে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাউসার সোহাগের নেতৃত্বে আমরা নিরক্ষরদের অক্ষর দান করার কর্মসূচী হাতে নিয়েছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।