২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

নিরাপদ সাগর চাই – মুজিব চেয়ারম্যান

সাগরে জলদস্যুতা, লুটপাট, ঝাটকা ইলিশ নিধন, ফিশিং ভ্যাসেল কর্তৃক মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করা ও ফিশিং বোটের জাল ছিনতাই বন্ধ করা শ্রিম্প মাদার আহরণের নামে সহস্রাধিক প্রজাতির মাছ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা দাবীতে এবং ফিশিং বোটের লাইসেন্স নিশ্চিতঃ করণের উপর গতকাল বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ মাঠে কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. মঈন উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে, মৎস্য পরিদর্শক জহিরুল হকের সঞ্চালনায় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে গতকাল এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক এম আই গুলদার,প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-বাণিজ্যিক দপ্তরের প্রকৌশলী বাহারুল ইসলাম ও বিএফডিসি অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা। প্রধান অতিখি তার বক্তব্যে বলেন সাগরে মৎস্য সেক্টরের নানাবিধ সমস্যাবলী নিরসনে সরকার বদ্ধ পরিকর। তিনি প্রত্যেকটি ফিশিং বোটের লাইসেন্স নিশ্চিতঃ করণের উপর জোর দেন। প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন-সাগরে জলদুস্যতা সুন্দরবন এলাকায় হ্রাস পেলেও কক্সবাজার-মহেশখালী-কুতুবদিয়া-বাঁশখালী-টেকনাফ-উখিয়া সামুদ্রিক এলাকা জুড়ে জলদস্যুতা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন ১০/১৫টি বোটে জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বোটের আহরিত মাছ ও সর্বস্ব লুট করে বোটের মালিক ও মাঝি-মাল্লাদের অপূরণিয় ক্ষতি করে চলেছে। তিনি কতিপয় স্বার্থান্নেষী ব্যক্তি কতৃক জালের মেস অতি ছোট করে দৈনিক লক্ষ লক্ষ ছোট ইলিশ মাছ আহরণ পুর্বক বাজারজাত করে দেশের চরম সর্বনাশ ডেকে আনছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তড়িৎ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান। এ ধরণের ছোট ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ করা না হলে সমিতির মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। মাঝি-মাল্লাদের নিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে সাগর নিরাপদ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানান। সভায় বক্তারা ফিশিং ভ্যাসেল কর্তৃক নিরীহ ফিশিং বোটের উপর নির্যাতন ও জাল ছিনতাই, রাতের আধারে ফিশিং বোট ডুবিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। সমাবেশে অবিলম্বে জেলাদের নিরাপত্তা বিধান করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের যাওয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে-এডভোকেট মনির উদ্দিন মনির, জানে আলম পুতু, বোট মালিক সমিতির পরিচালকদের মধ্যে হতে মোঃ কাইয়ুম সওদাগর, অর্থ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, শফিউল আলম বাঁশি সওদাগর, ফজল করিম, ওসমান গণি টুলু প্রমুখ।সভায় ইতিপূর্বে এফবি রুমা নামের একটি ফিশিং বোট ১৬জন মাঝি-মাল্লাসহ ফিশিং ভ্যাসেল কতৃক তীব্র গতিতে ধাক্কা মেরে সাগরে ডুবিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ক্ষোভ,নিন্দায় প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবী জানানো হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।