প্রেস বিজ্ঞপ্তি;
উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সচিব নির্বাচিত হয়েছেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি, কক্সবাজারের কৃতি সন্তান, মজলুম ছাত্রনেতা, লেখক ও সাহিত্যিক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। ১৯ নভেম্বর (শনিবার) পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভায় তাঁর ওপর এ গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়। দলের আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ইতিপূর্বে হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তী মেয়াদে ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্রসমাজের মজলিসে শুরা, উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের যৌথ অধিবেশনে তিনি কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, মেধাবী ছাত্রনেতা ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর আকাবিরে দেওবন্দের হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনে যোগদান করে পর্যায়ক্রমে রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক, রামু উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত সুনাম, দক্ষতা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এরই ধারাবািহিকতায় তিনি ২০১৩ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে এ সংগঠনের কক্সবাজার জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রাখেন। প্রত্যন্ত জনপদে ইসলামী ছাত্রসমাজের দাওয়াত পৌঁছানো এবং সংগঠনকে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর লক্ষ্যে হাফেজ আবুল মঞ্জুরের একনিষ্ঠ কর্মপ্রয়াস ও আত্মত্যাগ সারাদেশের নেতা কর্মীদেরকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করে। তিনি সাংগঠনিক দক্ষতার নজীর স্থাপনের সাথে সাথে রাজপথে ঈমানী ও জাতীয় ইস্যুতে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামেও সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আদর্শিক পথচলা অব্যাহত রাখতে গিয়ে নেজামে ইসলাম পার্টির এক সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। বাতিলের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার কারণে তিনি নানা সময়ে হামলা-মামলার শিকার হন। এভাবে বিভিন্ন প্রতিকুলতা মোকাবিলা করে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে আসা এ মেধাবী ছাত্রনেতা ইসলামী ছাত্রসমাজের মতো ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অভিষিক্ত হন। এমন ধারাবাহিকভাবে ছাত্র সংগঠনে উল্লেখযোগ্য সময় ধরে নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের সাথে দায়িত্ব পালন করে দক্ষতা ও কৃতিত্বের নজীর স্থাপন করায় প্রাচীনতম ইসলামী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় তাঁকে দলটির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সচিব নির্বাচিত করা হয়।
পার্টির আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজীর সভাপতিত্বে, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুরুল কাদের চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাহী পরিষদের এ সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র নায়েবে শায়খুল হাদীস আল্লামা আবদুল মাজেদ আতহারী, নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আবদুল খালেক নেজামী, মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইলিয়াস খান, সংগঠন সচিব প্রিন্সিপাল আবু তাহের খান, সহ-সংগঠন সচিব মাওলানা এনামুল হক কুতুবী, প্রচার সচিব মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান, দফতর সচিব মুফতী দ্বীনে আলম হারুনী, আইন বিষয়ক সচিব এড,যুবায়ের ফরিদ, শিল্প বিষয়ক সচিব আলহাজ্ব শাকিরুল হক খান, এস এম নাজিমুদ্দিন, ক্বারী ফজলুল করিম জেহাদী (চট্টগ্রাম), মাওলানা আবদুর রহমান জিহাদী (কক্সবাজার), মাওলানা দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম উত্তর জেলা), মাওলানা মাসুম বিল্লাহ আনওয়ারী (ময়মনসিংহ), ইসলামী ছাত্রসমাজের তখনকার সভাপতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, মহাসচিব এহতেশামুল হক সাখী, সহকারী মহাসচিব ওয়াহিদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য হাফেজ শওকত আলী ও মুহাম্মদ দিদারুল আলম প্রমূখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ দেশের বিরাজমান অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ তৈল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এর অবাধ সরবরাহ নিশ্চিত করে দব্রমূল নিয়ন্ত্রণের আহবান জানান এবং পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ কারাবন্দী সকল মজলুম আলেমদের মুক্তির দাবী জানান। শিক্ষনীতিতে ইসলামী ভাবধারার প্রতিফলন ও ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করারও জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।