২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার। সকাল ১০ টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলনকক্ষে শুরু হল বেসরকারী সংস্হা ব্র্যাকের মেজনিন কর্মসূচীর একটি প্রোগ্রাম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি, জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, ব্র্যাক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পত্রিকার সম্পাদক-সাংবাদিকবৃন্দসসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার জনগন উক্ত প্রোগ্রামে উপস্হিত। কমিউনিটি ওয়াচ গ্রুপের সাথে মতবিনিময়শেষে দুপুর একটায় সমাপ্ত হল অনুষ্ঠান। এরপর সবাইকে লাঞ্চপ্যাক দেয়া হল। লাঞ্চের বিরিয়ানী সরবরাহ করা হয়েছে শহরের সায়মান রোডের তথাকথিত “আভিজাত খাবার ঘর” পউষী থেকে। কিন্তু “অভিজাত পউষী”র সেই বিরিয়ানীর প্যাকেট খুলে দেখা গেল মুরগীর মাংস পঁচা গন্ধযুক্ত। প্রথমে টের না পেয়ে যারা খেয়েছেন, বমি করেছেন অনেকেই। প্রধান শিক্ষক একেএম আলমগীর, শিক্ষক নূরুল আমিন হেলালী, শিক্ষক শহীদুল ইসলাম ও শিক্ষার্থীরাসহ আরো অনেকেই জানালেন বাসী বিরিয়ানীর রি-এ্যাকশন ও ভোগান্তির কথা। অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অপর শিক্ষক জানান, বিরিয়ানীর প্যাকেট বাসায় নেয়ার পর শিশুপুত্র খেলে তার বমি শুরু হয়।
এদিকে একই দিন বানিজ্য মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে লিংক রোডের বিসিক শিল্প এলাকায় আয়োজিত একটি মতবিনিময় সভায়ও দুপুরের খাবার সরবরাহ করে পউষী রেষ্টুরেন্ট। সেখানেও একই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন অংশগ্রহনকারী ও অায়োজকরা। প্রায় প্রতিটি প্যাকেটেই মুরগীর দুর্গন্ধযুক্ত পঁচা মাংস দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর বিরিয়ানীর প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত (০১৮১৯-৫৩৭৩৭০) নাম্বারে ফোন করা হলে পউষীর পার্টনার পরিচয়দানকারী হামিদ বলেন “গতকাল মুরুব্বী দায়িত্বে ছিলেন, আমি কিছু বলতে পারবনা”। মানহীন ও বাসী-পঁচা খাদ্য চড়াদামে বিক্রি করে এভাবেই গ্রাহক ঠকাচ্ছে পউষী রেষ্টুরেন্ট। এতে পউষী’র পৌষমাস হলেও ভোক্তাদের পকেট ও স্বাস্হ্যের সর্বনাশ হচ্ছে। আর এসব যেন দেখার কেউ নেই। ভ্যাট ফাকি দেয়ার অভিযোগেও কিছুদিন আগে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল পউষী রেস্টুরেন্ট। উক্ত হোটেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার দাবী জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।