২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বেড়েছে ইলিশের চাহিদা

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বেড়েছে ইলিশের চাহিদা। বাজারে ছোট-বড় ইলিশের ছড়াছড়ি, রয়েছে জাটকাও। রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাপিলা সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ টাকা কেজি দরে। ইলিশের নামে মৌসুমে সামুদ্রিক চন্দনা মাছও বিক্রি হচ্ছে। তবে এ বছর চাহিদা ব্যাপক নয়। তাই ক্রেতারা কিনছেন বুঝেশুনে।

পহেলা বৈশাখে ইলিশ দিয়ে পান্তা খাওয়া রীতিতে পরিণত হয়েছে। যদিও বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের কী সম্পর্ক তা কেউই খুঁজে পান না। তার পরও সংস্কৃতি রক্ষার নামে যেভাবে জাটকা ও মা ইলিশ খাওয়ার মহোৎসব চলে তাতে ইলিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইলিশ ছাড়া পহেলা বৈশাখ উৎযাপন হবে না- এমন রীতি কে, কবে চালু করেছে তার কোনও হদিস পাওয়া যায় না। আবার ইলিশের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির সম্পর্কওবা কী তারও কোনও সঠিক ব্যখ্যা নেই। তারপরও বৈশাখ এলেই পাগলের মতো মানুষ ছুটছে ইলিশের পেছনে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে দেশের মৎস্য সম্পদ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬০ ভাগ ইলিশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশের নদ নদীতে ধরা মাছের ১২ শতাংশই ইলিশ। বাংলাদেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) এর অবদান এক শতাংশ। এক মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রম নিশ্চিত করতে পারলে বছরে ইলিশের বাণিজ্য হতো কমপক্ষে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২-০৩ অর্থবছরে দেশে ইলিশ উৎপাদন হয় এক লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ লাখ মেট্রিক টন। সংশ্লিষ্টদের মতে, মা ইলিশ সুরক্ষা ও ডিম ছাড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করায় প্রতিবছরই ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, ‘সরকারের বাস্তবমুখী বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে প্রতি বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। উৎপাদন বাড়াতে জাটকা ও মা ইলিশের প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা এ বিষগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই থেকে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ রয়েছে। এর আগে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে ৮ হাজার ৫৩৮ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানি করে।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ  বলেছেন, ‘ইলিশ রফতানির কোনও সিদ্ধান্ত সরকার এখনও নেয়নি এবং আপাতত পরিকল্পনাও নেই। সরকার ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইলিশ নিয়ে গবেষণাও চলছে।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।