নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন এর পাগলির বিল গ্রামের বহুল আলোচিত ইয়াবা গডফাদার, ইয়াবাসহ ডজন মামলার জেল ফেরত মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে একই এলাকার ৫ জনকে গুরুত্বর আহত করেছে। এই ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আহতরা হলেন স্থানীয় মৃত পেটান আলী মেম্বারের ছেলে মুদি দোকানদার বদিউল আলম(৪০),হাসু মিয়া(৫৫),বেলাল উদ্দিন(৩৭), আবদুল গফুরের ছেলে মো. রাশেদ(২৬),মুফিজুর রহমানের ছেলে কামরান হোসেনসহ ৭/৮।
উখিয়া থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, পাগলির বিলের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে রফিক প্রকাশ ইয়াবা রফিক স্কুল গামী উঠতি ছেলেদের দিয়ে ইয়াবা পাচার,সেবন,করানোর কাজ করতো।সমাজের সচেতন ব্যক্তি সাংবাদিক বাবুলমিয়া মাহমুদ রফিককে এ সব অপকর্ম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে ইয়াবা রফিক,মাহমুদুল হক গং প্রথমে ২৭ নভেম্বর সাংবাদিক বাবুলমিয়া মাহমুদ ও ব্যাংকার বেলাল উদ্দিনকে হামলা করে টাকা পয়সা,মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়, এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে বেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২৮নভেম্বর উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করিলে সন্রাসী মাহমুদুল গং ক্ষিপ্ত হয়ে ২৮ নভেম্বর রাতে প্রথমে ব্যবসায়ী বদিউল আলমকে উপযুপরি কুপিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে তার মুদির দোকানের মালামালও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।বদিউল আলমের শোর চিৎকার শোনে বদিউল আলমের অপরাপর ভাই ও অপরাপর আহতরা ছুটে এলে তাদের উপরও হামলা করে মাহমুদুল হক গং। স্থানীয় মৃত সিরাজুল হকের ছেলে সোহেল রানা, রফিক,কফিল,মাহমুদল হকের ছেলে আনোয়ারসহ সন্রাসী গ্রুপটি।সন্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত পেটান আলী মেম্বারের ছেলে হাসু মিয়া (৫৫) বেলাল উদ্দিন (৩৭)ও আবদুল গফুরের ছেলে মোঃরাশেদ(২৮)মুফিজুর রহমানের ছেলে কামরান হোসেন (২০)গুরুত্বর আহত হয়।আহত হাসু মিয়ার কোমরের বেশ কয়েকটি হাড় ভেংগে যায়।আহত বদিউল আলমকে বুকে ধারালো চুরিয়াঘাত করায় সদর হাসপাতালে জরুরিভিক্তিতে অপারেশন করার পর কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, অল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেলেন বলে জানালেন সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা।ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হৃদযন্ত্রের পাশ দিয়ে ধারালো অস্ত্র ফুসফুসের কাছাকাছি আঘাত করায় ফুসফুসে রক্ত জমাট সৃষ্টি হয়।দ্রুত সময়ে অপারেশন হওয়ায় বদিউল আলমকে প্রাণে বেচে যায়।তবে এখনো বিপদমুক্ত না।এ ঘটনায় আহত বেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় সন্রাসদের নামে হত্যা প্রচেষ্টা মামলা রুজু করা হয়।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখেছি মামলার আসামীরা জঘন্য অপরাধ করেছে।তাই নির্যাতিতরা যেন ন্যায় বিচার পায় তার জন্য দ্রুত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে উখিয়া থানা পুলিশ সর্বদা অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে হলদিয়া পালং ইউপির(প্যানেল) চেয়ারম্যান ছেনু আরা বেগমের পরিবারের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীর্ব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতারের জোর দাবী জানিয়েছেন হলদিয়া পালং ইউপির চেয়ারম্যানএস,এম, ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্যানেল চেয়ারম্যান বাবু স্বপন শর্মা রনিসহ পরিষদ সদস্যরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।