২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

পাথুরে বীচ ইনানীতে পর্যটকের ঢল


পর্যটন মৌসুমে সাপ্তাহিক ছুটির সুযোগে পাথুরে বীচ ইনানীতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে পাথরের লুকোচুরি খেলা, নান্দনিক সূর্যাস্তের দৃশ্য, পাশ্ববর্তী সুউচ্চ পাহাড় সহজে মন কাড়ে আগত পর্যটকদের।
শুক্রবার ইনানী সৈকত ঘুরে দেখা যায়, হাজারো পর্যটক সপরিবারে ইনানী বীচে অবস্থান নিয়ে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। এছাড়া ও দুরদুরান্ত থেকে পিকনিক করতে আসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং চাকুরীজীবীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। বন বিভাগের রেস্ট হাউস সংলগ্ন পিকনিক স্পটে তারা মেতে উঠেছেন আনন্দ- উল্লাসে।
ঢাকার ফার্মগেট থেকে আসা আইনজীবী আনিসুল হক জানান, পরিবার সহ কক্সবাজার বেড়াতে আসলাম। সন্ধ্যা নামতেই পাথুরে বীচ ইনানী সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে এলাম। তিনি উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, ইনানী সী বীচের সৌন্দর্য আসলেই মনোমুগ্ধকর।
কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক দম্পত্তি হাসান খান ও তার স্ত্রী জাফরিন জানালেন, এতোদিন ইনানী বীচের কথা শুনে আসলেও আজ তার সৌন্দর্য্যের রোমাঞ্চিত হতে পেরেছি। পাথরে উপচে পড়া ঢেউ, সূর্যাস্তের দৃশ্য স্মৃতির মানসপটে আজীবন তাজা হয়ে রবে।
স্থানীয় কোটবাজার থেকে আসা ফার্মাসিস্ট জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়িক ক্লান্তি দূরীকরণে সাপ্তাহিক শুক্রবারে ছোটে আসি ইনানীতে। সাগরপাড়ের উত্তাল হাওয়া আর মনোরম দৃশ্য এক নিমিষেই সব ক্লান্তি দুর করে দেয়।
জগ্নন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরজু এবং তার সহপাঠীরা অভিযোগ করে বলেন, ইনানীতে বন্ধুবান্ধবরা রাত্রি যাপন করতে চাইলে ও থাকা খাওয়া এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সন্ধ্যা নামার আগেই পর্যটকরা ফিরে যায় কক্সবাজার শহরে। এছাড়া ইনানী বীচের বন বিশ্রামাগার সংলগ্ন এলাকায় সারি সারি গড়ে ওঠা দোকানগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের গলাকাটা দাম নিয়ে পর্যটকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। সী বীচে বখাটে আর ফেরি ব্যবসায়ীদের উৎপাত কঠোর হস্তে দমন করা হচ্ছে।
স্থানীয় জালিয়াপালং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, উপকুলের সৌন্দর্য্যে বর্ধনে আরো কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলে ইনানী হয়ে উঠবে জেলার অন্যতম পর্যটন সম্ভাবনাময় স্পট।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।