অন্য গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট গাড়িচালকের তিন বছরের জেল এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৭’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রতিযোগিতা দিয়ে গাড়ি চালালে, সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা না হলেও চালকের দুই বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। গতিসীমা লঙ্ঘন করলেও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটলে দণ্ডবিধির আওতায় বিচার হবে। এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই আইনে আমলযোগ্য অপরাধে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় দায়ীকে আটক করতে পারবেন। হেলপারেরও লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অষ্টম শ্রেণি পাস না হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স নয়
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। আর লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চালক মোবাইলে কথা বললে ১ মাসের জেল
সংরক্ষিত নারী আসনে বসতে না দিয়ে কেউ ওই আসনে বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। মোবাইল ফোন বা এরূপ কোনো ডিভাইজ ব্যবহার করলে এক মাসের জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন চালক।
ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালালে তিনমাসের কারাদণ্ড
হেলপার বা শ্রমিক গাড়ি চালাতে পারবে না। নেশা জাতীয় দ্রব্য বা মদ পান করে কেউ গাড়ি চালালে ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা। ফুটপাত দিয়ে মটর সাইকেল চালালে ৩ মাস কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে এই আইনে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।