বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় জবর দখল করা পাহাড় কেটে পাকা স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়ে পরিদর্শনে যাওয়া বনকর্মী ও বনপাহারা দল (সিপিজি) সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাদের প্রহারে সিপিজি নারী সদস্যসহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মহুরীপাড়ায় আবু বক্কর ওরফে রোহিঙ্গা ইউসুফ ড্রাইভারের জবরদখল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার খবর পেয়ে একইদিন বিকেলে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে বনবিভাগ অভিযান চালিয়ে নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের আসামী করে মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা।
সমীর রঞ্জন সাহা বলেন, ঝিলংজায় একটি দুর্বৃত্ত চক্র কর্তৃক জবরদখল করে রাখা পাহাড় কেটে সম্প্রতি পাকা স্থাপনা করার খবর পায় স্থানীয় বিট অফিস। উর্ধতন কর্মকর্তাদের অনুমতি সাপেক্ষে লিংকরোড বিটের বিট কর্মকর্তা সোহেল হোসেন বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যদের নিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা স্থলে যান। সেখানে পৌছামাত্রই স্থাপনাকারি পরিবারের সন্তান এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার এনামুল দলবল নিয়ে বনকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সিপিজি নারী সদস্যকে চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালে মেরে রক্তাক্ত জখম করে তারা। তাদের প্রহারে ৪ বনকর্মীও গুরুতর আহত হন। অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়। বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যদের হামলাকারী আবু বক্কর সিদ্দীক ওরফে রোহিঙ্গা ইউসুফ ড্রাইভার, তার ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার এনামুল হক, মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার, স্ত্রী জুহুরা বেগম ও বোন জোহারা আকতারসহ অজ্ঞাতদের ধরা যায়নি।
অভিযানে লিংকরোড বিট কর্মকর্তা সোহেল হোসেন, হিমছড়ি বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জমান সোভন, ঝিলংজা বিট কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, চেইন্দা বিট কর্মকর্তা ফছিউল আলম শুভ এবং বিটের স্টাফসহ সিপিজি সদস্যারা অংশগ্রহণ করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, বনবিভাগের সাথে গিয়ে অভিযানে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বনবিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বনবিভাগ চাইলে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।