চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের ঘটনায় সবশেষ মোট ১৪৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম এই চার জেলার অন্তত ১০টি স্পটে পাহাড়ধসের এসব ঘটনা ঘটে।
প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ধসের পর আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চলছে। সবশেষ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাঙ্গামাটিতে আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ওই জেলাতেই মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬ জনে। ধসে পড়া মাটির নিচে আরো অনেকের মৃতদেহ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে পাহাড়ধসের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে চারজন সেনা সদস্যও রয়েছেন। তারা হলেন মানিকছড়ি ক্যাম্পের সদস্য। প্রাথমিক ধসে চাপাপড়া মানুষদের উদ্ধার করার সময় পাহাড়ে বড় ধরনের ধস হলে তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাদের।
মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এ সময় মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ক্যাপ্টেন মো. তানভীর সালাম শান্ত, কর্পোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক ও সৈনিক মো. শাহিন আলম মাটিচাপা পড়লে পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন পাঁচ সেনা সদস্য। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। আহত অন্যান্যদের আশেপাশের হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়।
টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টিপাতের পর গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পাহাড়ধসের এসব ঘটনা ঘটে।
এছাড়া পাহাড়ধসে বান্দরবানে ছয়জন, কক্সবাজারে দুজন, খাগড়াছড়িতে একজন এবং চট্টগ্রামে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।
রাঙ্গামাটিতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৫০ জন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। এই জেলার সদর উপজেলা, মানিকছড়ি, কাউখালী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়িতে পাহাড়ধস হয়।
এছাড়া বাকি নিহতদের মধ্যে কাউখালী এলাকার নুড়িয়া আক্তার, আইয়ুস মল্লিক, রুমা আক্তার, অমিত চাকমা, হাজেরা বেগম, লিটন মল্লিক, চুমকি দাস, সোনালী চাকমা, কাপ্তাই উপজেলার কারিগরপাড়ার নিকি মারমা ও অনুচিং মারমার নাম জানা গেছে।
বান্দরবান শহরের লেমু ঝিড়িপাড়া, কালাঘাটা ও ক্যচিংঘাটা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে এক পরিবারের ভাইবোনসহ মোট ছয়জন নিহত হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।