অনলাইন ডেস্কঃ
করোনার প্রকোপের জন্য চলতি বছরের জন্য পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করার প্রস্তাব করেছেন অধ্যাপক মনজুর আহমদ। শনিবার এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে তিনি এ প্রস্তাব রাখেন।
অধ্যাপক মনজুর আহমদ বলেন, এ বছরের জন্য পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা যেতে পারে। আলোচনা করে পরে তা চালু করা যায়।
অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংসদ টিভির চলমান ক্লাসগুলো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের উপযোগী করে তোলার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিভি ক্লাসগুলো মোবাইল ফোনসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। তবে এখনো ১০ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে সংসদ টিভির ক্লাসগুলো পৌঁছায়নি। কিন্তু এই দশ ভাগকে পেছনে ফেলে আমরা সামনে এগিয়ে যাব না। তাই ইতিমধ্যেই আমরা টোল ফ্রি মোবাইল সুবিধা দেব যা খুবই দ্রুত সেটা চালু করতে যাচ্ছি, যার মাধ্যমে সেই ১০ ভাগ শিক্ষার্থীও শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে পাঠের সুযোগ পাবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনার এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। চলতি শিক্ষাবর্ষে যতটুকু সিলেবাস হলে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে শিখে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হতে পারে, তা পড়ানোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে। বর্তমান শিক্ষাবর্ষ আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো যায় কি না—তা আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। আর আগামী শিক্ষাবর্ষ ৯-১০ মাসে শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের ঐচ্ছিক ছুুটি কমিয়ে আনা হবে।’
দীপু মনি বলেন, ‘চলতি বছরের এইচএসসির সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রয়োজনে স্বল্প সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা নিতে বিষয় কমানো যায় কি না, সে ব্যাপারটা ভেবে দেখা হবে। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসার ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।