মহেশখালী উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিট পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাসরাসার অধ্যক্ষ আমির হোসাইন ও বিএসসি সিনিয়র শিক্ষিকা জান্নাত আরা বেগমকে মাদরাসার শিক্ষক মিলনায়তনে ঢুকে বহিরাগত আবছার কামাল, সোহাগ কামাল, ফারুক, সরওয়ার কামাল গংয়েরা অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত হয়ে গত ৪ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে অধ্যক্ষ ও বিএসসি শিক্ষিকাকে গুরুতর আহত করে। শিক্ষক/শিক্ষিকার উপর হামলার সংবাদ শুনার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ারুল নাসের, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ জহির উদ্দিন ও থানার অফিসার বিকাশ চক্রবর্তী সহ এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও আরো গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সহযোগীতায় অধ্যক্ষ আমির হোসেন ও শিক্ষিকা জান্নাত আরাকে উদ্ধার করে। শিক্ষিকা জান্নাত আরার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার ককসবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
আহত পক্ষের দাবী, শামসুল আলম লোকটি কোন দিন মাদরাসায় লেখাপড়া তো দুরের কথা মাদরাসার বারেন্দায় পর্যন্ত পা রাখেনি এরপরে ও আলেম ওলামায়ে কেরামদের সংগঠন গাউছিয়া কমিটির উপজেলা সভাপতির পদটি জোরপুর্বক দখল করে রেখেছে। মহেশখালীর ওহাবী-সুন্নী হত্যা মামলার ১নং আসামী সে মহেশখালীতে যতসব অশান্তির মুলহোতা। সম্প্রতি মহেশখালী উপজেলা যুবলীগ অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ায় জনতা ক্ষুব্দ হয়ে শামসুল আলমকে যুবলীগ অফিসের সামনে উপস্থিত জনতারা গনধোলাই দিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে তখন সেই শামসুল আলমকে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধার করে এবং মহেশখালী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শাহজাহান বাদী হয়ে দ্রুত আইনে মামলা দায়ের করে। সেই শামসুল আলম মহেশখালীর সর্বোচ্চ বিদ্যাপিট পুটিবিলা ফাজিল মাদরাসা দখলে নিতে অকের পর এক যড়ষন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তারই অংশ বিশেষ গত ৪ মার্চ তার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী দিয়ে মাদরাসায় হামলা চালিয়ে অধ্যক্ষ ও শিক্ষিকার উপর হামলা চালিয়ে প্রতিষ্টানটি দখলে নিয়ে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে শিক্ষকদের উপর হামলার বিষয়টি প্রশাসন সহ সর্বস্থরের জনগনেরা অবহিত। এই রকম প্রকাশ্যে ঘটিত ঘটনাকে ভিন্ন হাতে প্রবাহিত করার জন্য উল্টো পুটিবিলা মাদরাসার বহিস্কৃত অধ্যক্ষের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের তান্ডবের অভিযোগ শীর্ষক শিরোনাম দিয়ে দৈনিক বাকঁখালী ও দৈনিক ককসবাজার নামক পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ছাপিঁয়ে প্রশাসন ও জনতাকে বিভ্রান্ত করার পায়ঁতারা চালিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকায় জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে সংবাদ দেখে মহেশখালী উপজেলা জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দের তীব্রনিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তার জবাবে বলেন, মুলত ঘটনার সাথে জামায়াত-শিবিরের দুরতম সর্ম্পক নেই। মাদরাসার ঘটনাটি মাদরাসার সর্ম্পুন অভ্যন্তরীন বিষয় এতে জামায়াতের বা শিবিরের হস্তক্ষেপের কোন প্রশ্নই আসেনা । মাদরাসার অধ্যক্ষ আমীর হোসেনের সাথে জামায়াতের কোন সর্ম্পক নাই। তাই তার পক্ষ নিয়ে তান্ডব চালানোর কোন প্রশ্নই উঠেনা তাছাড়া সেখানে পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। ঘটনার সার্বিক ঘটনাবলী সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসন অবগত আছেন। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও করেছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি দুঃখ জনক এবং এটি হচ্ছে পরিকল্পিত অপপ্রচার। সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে এই রকম জঘন্য অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।