২ জানুয়ারী দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠার ৭নং কলাম এবং ৪নং পৃষ্ঠের ৬নং কলামের “পুলিশে এখনো বিএনপি জামায়াতের কালো ছায়া” শীর্ষক সংবাদ সংক্রান্তে আমার দৃষ্টিগোচর হইয়াছে। আমি শুধু প্রতিবাদ নয় চ্যালেন্জ করছি। পুলিশের চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে ছাত্রজীবনে অর্থাৎ ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম বা কোনো কমিটিতে নাম ছিল অথবা কোনো সভা সমাবেশে বা মিছিলে দেখা গিয়েছে তবে আমি চাকুরী ছেড়ে দিব। একজন পেশাদার পুলিশ হিসেবে পেশাদারিত্বের খাতিরে দেশের স্বার্থে আইনগত ভাবে যা যা করনীয় তা যথাযথভাবে করেছি। ২০০৮ সালের জুলাই মাস হতে আমি অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রথমে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায় এক নাগাড়ে ৩ বছর ১ মাস ওসি হিসেবে সুনাম ও সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন শেষে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানা, হাটহাজারী মডেল থানা, জোরারগঞ্জ থানা, ভুজপুর থানার ওসি হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে কক্সবাজার জেলার রামু থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে কর্মরত আছি। উল্লেখ্য যে দেশের চরম ক্রান্তিকালে ২০১২-২০১৩ সালে যখন লাশের গন্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অচল, হাটহাজারীতে মন্দির পোড়ানো- মসজিদ ভাঙ্গা ইস্যু নিয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হওয়ার উপক্রম, হেফাজতের উত্থান, দেশব্যাপি চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা, ৫ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন – দেশ ও জাতির এমন দুর্যোগ মূহুর্তেও আমি সুনামের সহিত হাটহাজারী ও জোড়ারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রকাশিত তালিকা সম্পূর্ণ ভূয়া, ভিত্তিহীন, মনগড়া এবং কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে করিয়াছে বলিয়া প্রতিয়মান হয়। কেননা প্রকাশিত তালিকায় বর্ণিত তথ্যের কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয় নাই। পেশাদার পুলিশ মানেই জামাত শিবির বিএনপি – বলে যারা সরকার কে তোষামোদ করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন এবং পেশাদার শূন্য পুলিশ বাহিনী গঠন করার নীল নকশা তৈরি করেছেন – এই তালিকা তাদের প্রথম ব্যর্থ প্রয়াস বৈ আর কিছু নয়। হীন মন মানসিকতা থেকে উদ্ভূত এই কাল্পনিক তালিকা প্রস্তুত কারীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
নিবেদক
এ.কে.এম লিয়াকত আলী
অফিসার ইনচার্জ
রামু থানা, কক্সবাজার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।