ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক ( এ এসআই ) জাকারিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের সহযোগীতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোভের বশবর্তী হয়ে কিংবা অনৈতিক সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্যই জাকারিয়া পুলিশের অভিযানের আগাম তথ্য ফাস করে দিচ্ছে। এই কর্মকর্তার সাথে ঈদগাও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মনজুর আলাম বাহিনীর দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে। হত্যা, নারী নির্যাতন মামলা সহ একাধিক মামলার আসামী মনজুর ও তার সহযোগীদের বাচাতে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন তিনি। এমনকি মুঠোফোনে সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছে এই কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঈদগাও কালিরছড়া এলাকায় মনজুর আলম ও তার বাহিনীর সদস্যরা শহরের রিদুয়ান মোস্তফা নামের এক যুবককে মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় কোন মতে রিদুয়ান নিজের জীবন বাচিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় নেয়। এরপর ঈদগাও তদন্ত কেন্দ্রের আইসি ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠায়।
কিন্তু পুলিশ বের হওয়ার সাথে সাথে আসামীদের সরে যেতে পারভীন নামের এক নারীকে ফোন করে এ এস আই জাকারিয়া। ফোনে জাকারিয়া মনজুর আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মামলার তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে বলেও পারভীনকে জানান। তিনি আরো বলেন, অস্ত্র লুকিয়ে ফেলতে । মনজুর আলম ও তার বাহিনীকে গা ঢাকা দেওয়ার পরামর্শ ও দেন ওই কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত এ এসআই জাকারিয়া মুঠোফোনে পারভীনের সাথে কথা বলার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার তদন্তাধীন একটি মামলার বাদী পারভীন। তাই ওই সময় তিনি তাকে ফোন করেছিলেন।
ঈদগাও তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভ’ইয়া জানান, জাকারিয়ার বিরুদ্ধে মুঠোফোনে তথ্য ফাসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ জানান, সন্ত্রাসীদের কারো সাথে পুলিশের যোগাযোগ থাকা অনৈতিক। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।