নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের ৩ ভাই সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, চাঁদা দাবি ও লুটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। পেকুয়া থানায় আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন পেকুয়া থানার ওসি মো. ফাহাদ আলী।
তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ অক্টোবর পেকুয়া বাজারে জমি দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগে বাদি এজাহার জমা দেন। এ ঘটনায় কয়েকজন আহতও হন। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাতে মামলাটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। এ মামলায় চেয়ারম্যানের ভাই মো আজম, মো কাইয়ুম, মো ওসমান সরওয়ার বাপ্পীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরো ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ২০ জনকে।
মামলার বাদি পেকুয়ার মৃত আছমত আলীর ছেলে আবুল কাশেম জানান, পেকুয়া বাজারে তাদের নিজস্ব মালিকাধিন জমিতে ১০ টি দোকান রয়েছে। যে ১০ টি দোকান ১০ জন ওয়ারিশ পরিচালনা করেন। সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর সময় মানুষ যখন নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চালানো হয় হামলা। এতে ১০ টি দোকান ভাংচুর করে অনন্ত ৫০ লাখ টাকার মালামাল রুট করা হয়। এতে আহত হন ৮ জন। এ ব্যাপারে থানায় এজাহার দায়ের করার পর সোমবার রাতে মামলাটি লিপিবদ্ধ করা হল। তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান এখনো অব্যাহতভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলায় অভিযোগ সমুহ মিথ্যা। ওটা তার ক্রয় করা জমি। জমিটি অন্যায়ভাবে দখলে রেখেছে একটি পক্ষ। ফলে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।