পেকুয়া সদর ইউনিয়নে গুলদিঘী খালসহ বিভিন্ন খালের মুখে, ব্রীজের নিচে ও স্লুইচ গেট গুলোতে বেড়া দিয়ে মাছ ধরার জন্য জাল বসিয়ে রাখায় বন্যার পানি বের হতে বিলম্ব হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল ১০ জুলাই পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা সাংবাদিক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে এসব জাল ও বেড়াগুলো তুলে দিয়েছে। এতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বেড়ীবাঁধের ভাঙ্গা দিয়ে ঢুকে পড়া বন্যার পানি দ্রুত বের হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর মতে ওই খালের বেড়া ও জাল তুলে দেয়ায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সরাসরি উপকৃত হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খানকে অবহিত করে ও তার অনুমতি পেয়ে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম এলাকাবাসিকে সংগঠিত করে গুলদিঘী খালের বিভিন্ন পয়েন্ট, খালের বাঁক, স্লুইচ গেট, ব্রীজের নিচে বেড়া দিয়ে বসানো জাল বেড়া অপসারণ শুরু করে দেয়া হয়েছে। এদিন দুপুরে নুইন্যামুনিয়া ব্রীজের নিচের জাল ও বেড়া অপসারণের সময় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান নিজে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম ও এলাকাবাসীর সাথে খালে নেমে জাল, বেড়া কেটে তুলে দেন। খালের বেড়া ও জাল তুলে দেয়ার সময় পেকুয়া সরদ ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার লোকজন সার্বক্ষনিক কাজ করেছেন। এসময় উপস্থিত থেকে কাজ করেছেন; পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি এইচ এম নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবুল, সদর ইউনিয়নের সভাপতি বাহার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ খুরশেদ আলম, শ্রমিকলীগ নেতা ফরিদুল আলম, মোঃ রাশেল, জয়নাল, মনছুর আলম, আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম উদ্দিন ও আবদুল মালেক মাঝি। দক্ষিণ মেহের নামা বাজার পাড়ার আবদুল মালেক মাঝি জানান, পেকুয়া-বাঁশখালী মহসড়কের কারণে ওই সড়কের পূর্ব পাশে ঢুকে পড়া বন্যার পানি সহজে বের হতে পারছে না। তাছাড়া ওই সড়কে পানি বের হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্রীজ বা স্লুইচ গেট নেই। নুইন্যামুনিয়ার ব্রীজটিই পানি বের হওয়ার প্রধান পথ। কিন্তু ওই ব্রীজের নিচে একটি স্বার্থান্বেষী ও প্রভাবশালী মহল বেড়া দিয়ে জাল বসিয়ে মাছ ধরে। এতে পানি বের হতে না পেরে পেকুয়ার ওই সড়কের পূর্ব অংশের হরিণা ফাঁড়ি, সরকারী ঘোনা, ছৈরভাঙ্গা, তেইল্যাকাটা, মছইন্যাকাটা, আঁধাখালী, আলেকদিয়া পাড়া, পূর্ব মেহের নামা, বলির পাড়া, মোরার পাড়া, বাজার পাড়া ও সৈকত পাড়ার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বন্যার পরও পানি বন্দি ছিল। এ বছর পেকুয়ার শতভাড় ঘরে বন্যার পানি উঠে। ওই সময় সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম নিজে বেড়ীবাঁধ কেটে বন্যার পানি বের করে দিয়েছেন। এখন নুইন্যামুনিয়া ব্রীজের নিচে জাল অপসারণ করে দেয়ায় পেকুয়ার সর্বস্তরের মানুষের উপকার হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়; এদিন জাল অপসারণের স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি ও কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি উস্কানি দিয়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে দেয়ার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণের ঐক্যবদ্ধতার কারণে সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বেড়া ও জাল তুলে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের সহযোগিতা পাওয়া গেলে যে কোন কাজ করতে বিলম্ব করবো না। তিনি জানান, এ বর্ষায় বন্যার পানি ঠেকাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ীবাঁধ মেরামত ও পুননির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করা হচ্ছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।