বিএনপির মূখপাত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজের জেরে তার নিজ জন্মস্থান পেকুয়ায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের অব্যাহত অভিযানের খবরে পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে অর্ধশত গ্রাম পেকুয়ার। রাজাখালী, টইটং, পেকুয়া সদর, মগনামা, শিলখালী সহ প্রায় সবকটি ইউনিয়নে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে তল্লাশী চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। গতকাল দুপুরে সালাহউদ্দিন আহমদের নিজগ্রাম সিকদার পাড়ায়ও অভিযান চালিয়েছে সাদা পোশাকধারী এবং যৌথবাহিনীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পেকুয়ায় অতিরিক্ত র্যাব, বিজিবি মোতায়ন রয়েছে। এদিকে গত বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে পেকুয়া-মগনামা সড়কের আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা পয়েন্টে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের মালিকনাধীন একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
পেকুয়ার এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল পেকুয়া থানায় এক জরুরী বৈঠক করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তিনাথ। পরে তিনি থানা কম্পাউন্ডে আয়োজিত শান্তির জন্যে পেকুয়া শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বলেন, আমজনতাকে নিয়ে পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদু রকিবের সভাপতিত্বে ও এসআই শাহজাহান কামালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় এএসপি মো. মাসুদ আলম সহ আওয়ামীলীগ নেতারা বক্তব্য রাখেন। এদিকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর লোকজন আওয়ামীলীগের চিিহ্নত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে পেকুয়ার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে তান্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ। গতকাল এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এ দাবি করেন।
এদিকে সালাহউদ্দিনের সুস্থতা ও মুক্তি কামনায় গতকাল পেকুয়ার প্রায় মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। উপজেলা মহিলাদলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ঝিনু গত ১৪ মার্চ এ প্রতিবেদকে জানান, সালাহউদ্দিন আহমদের জন্য পেকুয়ার গ্রামে গ্রামে মহিলারা যেভাবে আহাজারী করছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা। তাদের একটাই দাবি সালাহউদ্দিনকে তাদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া হোক।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।