কক্সবাজার পৌরসভার বসতবাড়ীতের পানি সরবরাহের লক্ষে ্আরো ৪ টি নতুন পাম্প বসানো হচ্ছে। কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্তাবধানে পৌর এলাকার আইবিপি মাঠ, হিলটপ সার্কিট হাউজের নীচে, খাজা মঞ্জিলস্থ এলাকা, ও বাস টার্মিনালে বসানো হবে এসব গভীর পাম্প। এ সব পাম্প বসানো শেষে পানি সরবরাহ করা গেলে পৌর এলাকার পানির সমস্য অনেকাংশে কমে গিয়ে আরো বেশি পরিমান পানি সরবরাহ করা যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। একই সাথে আরো ৩ টি পাম্প বসানোর কাজ চলছে বলে জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী।
কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে কক্সবাজার পৌর এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষে বর্তমানে ৪ টি গভীর পাম্প বসানোর কাজ চলছে। প্রতিটি পাম্প নির্মানে ব্যায় হবে ৩০ লাখ টাকা। এখানে পাম্প চালকের জন্য বাসা, জেনারেটর সহ আনুসাঙ্গিক সব সুযোগ সুবিধা থাকবে। কক্সবাজার পৌরসভার পানি শাখার কর্মকর্তা মোঃ আবদুল্লাহ বলেন পাম্প বসানোর কাজ চলছে শহরের আইবিপি মাঠের এক পাশে, হিলটপ সার্কিট হাউজ এর নীচে কবরস্থার সংলগ্ন জমিতে, এছাড়া খাজা মঞ্জিলস্থ আলআমিন কিন্ডার গার্ডেন এর পাশে এবং আরেক টি বাস টার্মিনাল এলাকায়। এখনো কাজ চলছে সম্পূর্ন রুপে চালু হতে সময় লাগবে। আমরা আসা করছি এ সব পাম্প চালূ হলে কক্সবাজার পৌর এলাকার পানি সরবরাহের পরিমান বাড়বে এবং আরো অনেক মানুষের বাড়িতে পানি দেওয়া যাবে।
কক্সবাজার পৌরসভার সচিব শামসুদ্দীন বলেন আমি যেটা বুঝতে পেরেছি যদি পাম্প বসানো জন্য ঠিক মত জমি পাওয়া যেত তাহলে আরো অনেক পাম্প বসানো যেত। তবে দিন দিন পানির চাহিদা বাড়ছে তাই পাম্প বসানো এবং সেটার সংরক্ষন করা খুব দরকারী। পৌর এলাকার মানুষ সচেতন হলে পানির সমস্যা কমে যাবে। বর্তমান সরকার যে কোন উন্নয়নে খুব আন্তরিক। আমরা ঠিকমত নিতে জানলে সব কিছু হবে।
এদিকে শহরের টেকপাড়া এলাকার আবদু রহিম বলেন আমাদের বাড়িতে ৮/১০ বছর ধরে পৌরসভার পানি সরবরাহের লাইন আছে। কয়েক বছর আগে পানি ভাল পেলেও এখন পানি কমে গেছে নির্দিস্ট সময় ছাড়া পানি পাওয়া যায় না। বেশির ভাগ সময় পানিতে ময়লা আসে আর দূর্গন্ধযুক্ত পানি ও আসে। আমার মতে পানির পাম্প বাড়ানো ভাল কাজ তবে পানি পরিস্কার হওয়া জরুরী। তিনি বলেন এখন প্রতিটি বাড়িতে পৌরসভার পানির লাইনের সাথে বুম মটর লাগিয়ে দিয়েছে যার ফলে একটি বাড়িতে যে পরিমান পানি নেওয়া দরকার তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি পানি নিয়ে যায় এবং অপচয় করে। যার ফলে সাধারন গরিব মানুষ পানি বঞ্চিত হয়ে পড়ে। আমরা অনেক বার পৌরসভাকে দাবী জানিয়েছিলাম যারা বাসা বাড়িতে বুম মটর ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নিতে কিন্তু এ পর্যন্ত একটি পদক্ষেপও নিতে পারে নি।
বাহারছড়া এলাকার নাছির উদ্দিন বলেন পৌরসভার পানির লাইন আছে তবে সেখানে পানি আসে না। আমি বেশ কয়েক বার পৌরসভা অফিসে গিয়ে লাইনটি বিচ্ছিন্ন করতে গিয়েছিলাম দরখাস্ত ও দিয়েছি কিন্তু এ পর্যন্ত বন্ধ হয় নি। বিল ও নিয়মিত আসছে তিনি দাবী করেন প্রতিটি বাড়িতে বুম মটর লাগিয়ে পানি টেনে নেয় যার ফলে আমরা সাধারন মানুষ পানি পাই না। আমি বেশ কয়েক বার পৌরকতৃপক্ষকে বলেছিলাম যারা বাড়িতে বুম মটর ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে। এদিকে হোটেল মালিক সমিতির নেতা কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা শফিকুর রহমান বলেন আমরা পৌরসভাকে বিপুল টাকা ট্যাক্স দিয়ে থাকি সে অনুযায়ী আমরা পৌরসভার সুযোগ সুবিধা পাই না। বিশেষ করে পানি নিয়ে আমরা খুবই সমস্যায় আছি আর আমাদের হোটেল মোটেল জোনে পৌরসভার পানির লাইন নেই। আমরা দাবী করছি দ্রুত আমাদের পৌরসভার পানির ব্যবস্থা করা হউক। একই সাথে সম্প্রতি বেশ কয়েক টি নালা এবং রাস্তা করে পৌরসভা খুবই ভাল কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন আমি যতটুুক পারি চেস্টা তদবির করে পানির ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি। আগের ৮ টি পাম্প আমাদের আছে এর বাইরে আরো ৪ টি পাম্প নির্মিত হচ্ছে। এ সব পাম্প থেকে পানি আসা শুরু করলে আমি আশা করি পানির সমস্য অনেকখানী সমাধান হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন পৌর এলাকার জনসাধারনের জন্য পানি সরবরাহ করতে আরো ৪ টি পাম্প বসানোর কাজ চলছে সামনে আরো নতুন ৩ টি হওয়ার কথা আছে। বর্তমান ৪ টি নির্মানাধীন পাম্প বসানো হলে পৌর এলাকার ২০ % পানির সমস্যা সমাধান হবে। এগুলো প্রতিটি পাম্প বসাতে ৩০ লাখ টাকার মত খরচ হবে। এবং আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।