‘কক্সবাজার জেলা কারাগারে মুল ফটকে সাংবাদিকরা পাহারা দিয়ে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ভুট্টুকে আস্তানায় পৌঁছে দিয়েছে’ শিরোনামে গত কয়েকদিন ধরে কয়েকটি অখ্যাত নিউজ পোর্টাল ও ৩০ এপ্রিল স্থানীয় ‘দৈনিক আজকের কক্সবাজার’ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটি পড়ে আমি যারপরনাই বিস্মিত ও হতাশ হয়েছি। আমার দীর্ঘ দুই যুগের পরিচ্ছন্ন সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি কুচক্রীমহল হীন স্বার্থে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে অন্তর্দ¦ন্দ্ব, ব্যক্তিগত স্বার্থ ও আক্রোশের কারণে কিছু হলুদ সাংবাদিক এই সংবাদটি প্রচার করেছে। এই সংবাদের কোন ভিত্তি নাই।
বর্ণিত সংবাদের বিপরীতে আমার বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট। তাই সকলের বিভ্রান্তি অবসানের লক্ষ্যে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা তুলে ধরলাম। আমাদের কাছে তথ্য ছিলো- গত ২৭ এপ্রিল শুক্রুবার সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে একজন চিহ্নিত আসামী মুক্তি পাবে এবং তাকে কারাফটক থেকে আইনশৃংখলা বাহিনী গ্রেফতার করবে। কারাগার থেকে বের হওয়াকালে চিহ্নিত ওই আসামীকে কিছু সন্ত্রাসী ছিনিয়ে নেবে। এতে বিশৃঙ্খল ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হয়। মূলতঃ ওই আশঙ্কা থেকে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে জেলা কারাগার এলাকায় আমরা অবস্থান করি। শুধু আমি একা নয়, আরো বেশ সহকর্মীও সেখানে হাজির ছিলেন। ইত্যবসরে কারাবিধি অনুসারে আসামী হয়তো কারামুক্ত হয়ে নিজস্ব গন্তব্যে চলে গেছেন।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো- ওই দিনের ঘটনাকে তালগোল পাকিয়ে কিছু জ্ঞানপাপী ও কুচক্রি লোক আমার ব্যক্তিত্ব নিয়ে খেল তামাশা আরম্ভ করে দেয়। অখ্যাত ও ভূঁইফোঁড় কিছু গণমাধ্যমে আমার নাম উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করায়। আমার সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুণœ করতে পেশাগত প্রতিপক্ষরাই এমন ঘৃণিত কাজটি করিয়েছে। যা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ মনে করি।
ঘটনার আগের দিন (২৬ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপু আমাকে জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলাকারী ইয়াবা ভুট্টো সকালে কারাগার থেকে বের হবে। তার তথ্যের ভিক্তিতে সহকর্মী মোহনা টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি আমানুল হক বাবুল, আমার পত্রিকার (দৈনিক আমাদের কক্সবাজার) সাংবাদিক মো: শাহাদাত হোছাইনসহ সকালে জেলগেটে যাই। সেখানে আরো কয়েকজন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক আগে থেকেই ছিল।
আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চাই, যারা একজন আসামীকে কারাফটক থেকে তার বাড়ীতে পৌঁছে দেয়ার কথা প্রচার করেছেন; নিউজ করিয়েছেন, তারা প্রমাণ করুক। কে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে? কখন, কিভাবে চিহ্নিত আসামী ভুট্টুকে গন্তব্যে পৌঁছিয়ে দিয়েছি? এসব উদ্ভট অপপ্রচারে আমি নিজে যেমন বিস্মিত হয়েছি, ঠিক অবাক হয়েছেন আমার অসংখ্য সহকর্মী ও সুধীজন। আমার ব্যক্তিগত জীবনে কোন কলঙ্ক বা অভিযোগ নেই। পরিচ্ছন্নভাবে জীবন চলছি। যদি কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে পেশা ছেড়ে দেব।
যেসব পত্রিকা সংবাদ প্রচার করেছে, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তাদেরই প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। আমি এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সবার প্রতি অনুরোধ করছি।
সাইফুর রহিম শাহীন
সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত), দৈনিক আমাদের কক্সবাজার
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি, আরটিভি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।