আড়াই বছর পর আবারো কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজারে চলমান লাখো কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ও নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে ৬ মে কক্সবাজারে আসছেন তিনি। তার এ আগমনে উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ছাড়াও জনসমাবেশের আয়োজন করছে জেলা আওয়ামীলীগ। তাই প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উপলক্ষ্য করে সাজানো হচ্ছে জেলা শহরের সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপণা। চারদিকে সাজ সাজ রব সবার মাঝে ঈদের আবহ তৈরী করেছে। জনসভায় দু’লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটানোর লক্ষ্যনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত কক্সবাজার।
কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম এসব কথা বলেছেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশ স্থলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার পৌঁছাবেন। বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কের ইনানী এলাকায় আনুষ্ঠানিক উন্মুক্ত করণ ফলক উন্মোচন করবেন। এ সড়কে ১৭ টি ব্রীজ, ১০৮ চি কালর্ভাট রয়েছে। যেখানে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। সেখান থেকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়ে বেলা আড়াইটায় মঞ্চ থেকে উদ্বোধন করবেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের একােিডমিক ভবন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের ১০০ শয্যার ছাত্রী হোস্টেল, একাডেমিক ভবন কাম এক্সামিনেশন হল, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ১০০ শয্যার ছাত্রী হোস্টেল, উখিয়ার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবন, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন। এছাড়াও বিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করা হবে, বিমান বন্দর প্রকল্পের বাঁকখালী খালে ৫৯৫ মিটার খুরুশকুল ব্রীজ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজ্রা আইটি পার্ক, এলএনজি টার্মিনাল, ইনস্টেলেশন অব সিংগেল পয়েন্ট মুরিং, নাফ ট্যুরিজম পার্ক, কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) অফিস ভবন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সমাবেশ আরম্ভ হবে। তীব্র গরমের কথা মাথায় রেখে সমাবেশস্থলে সামিয়ানা টানানোর পাশাপাশি পর্যাড্ত পানির ব্যবস্থা করতে বসানো হয়েছে ডজনাধিক নলক’প, রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা। বিভিন্ন ধরণের প্রায় ১০ হাজার যান যোগে জেলার আট উপজেলা থেকে আসবে প্রায় ২ লাখ মানুষ। সেভাবে সমস্থ আযোজন ইতোমধ্যে সম্পন্œ হয়েছে। নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুশিল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জন্য ৮ হাজার আসন(চেয়ার) বরাদ্ধ থাকবে। তৎমধ্যে ৩ হাজার মহিলা ও ৫ হাজার পুরুষ।
জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি সাইফুজ্জামান শেখর, সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।
উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, শাহজাদা মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম, সাবেক এমপি এথিন রাখাইন, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, এম এ মনজুর, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রহিম উদ্দিন, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ম.ম আহমদসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ প্যান্ডেল ও সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।