সূত্র জানায়, এই প্রক্রিয়ায় নিয়েই এখন ব্যস্ত রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ধারনা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার কামারুজ্জামানের আইনজীবীরাও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।
এদিকে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা তা জানাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন কামারুজ্জামান।
আগে থেকেই জানা যাচ্ছিলো, যুদ্ধাপরাধে কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরে কোনও ধরনের তড়িঘড়ি করবে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সব ধরনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, দণ্ডপ্রাপ্তের জন্য সকল সুযোগ নিশ্চিত করেই এই দণ্ড কার্যকর করা হবে।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করে।
অপর একটি সূত্র এও জানায় কামারুজ্জামান তার মৃত্যুদণ্ড শুক্রবার কার্যকর করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তবে কোন দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা যায়নি।
এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানের ফাঁসির চূড়ান্ত রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানোর পরেও তার পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়নি। এ থেকেও সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছে রায় কার্যকরের আগে পরিবারকে অবশ্যই দেখা করার সুযোগ দেওয়া হবে। রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত পরিবারের কাছে দেখা করার কোনও পত্র পৌঁছায়নি।
অপরদিকে কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হলে তাকে কোথায় কবর দেওয়া হবে তাও নিশ্চিত হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তাকে যাতে শেরপুরে কবর দেওয়া না হয় তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা এসেছে। আর সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কবর কোথায় দেওয়া হবে তা জানা যায়নি।
এ অবস্থায় দায়িত্বশীল পর্যায় থেকেই বাংলানিউজকে জানানো হচ্ছে বুধবারেই কার্যকর হচ্ছে না কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ।
ধারণা করা হচ্ছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার কারণে সে প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করেই কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করবেন।