২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ৯১২৩ কোটি টাকার প্রকল্প

দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এজন্য ব্যয় হবে ৯১২৩ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ৪০ হাজার শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, ৮ হাজার বিদ্যালয়ে পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা, ৩৬ হাজার ৫০০ শ্রেণিকক্ষ ও ৩ হাজার ৫০০ শিক্ষক কক্ষে চেয়ার-টেবিল ও আলমারি স্থাপন এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর চলতি বছর থেকে ২০২২ সাল নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাহিদাভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক এক প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় শিগগিরই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপন করা হবে।

জানা গেছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রায় ৮১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ২ কোটি শিক্ষার্থী। সম্প্রতি সরকার ২৬ হাজার ৬০০টি রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি বিদ্যালয়কে শিক্ষকসহ জাতীয়করণ করেছে। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশ কিছুটা ভালো। কিন্তু এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অত্যধিক। ফলে শিক্ষার মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সার্বজনীনকরণ ও ৫ম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষাজনিত কারণে শিক্ষার সময় বেড়েছে। বিদ্যমান কাঠামোয় এখন আর কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ৩০ শতাংশ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো যুগোপযোগী করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জিয়াউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিকল্প নেই। এছাড়া ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার চাহিদা বাড়ছে। এ অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা যুগোপযোগী করা দরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পিইডিপি-৩ এর আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, যা নীতিনির্ধারণীসহ সবমহলে গ্রহীত হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিত গাইডলাইনের আওতায় ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত এক প্রস্তাব করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন যাচাই-বাছাই করে এই প্রকল্পের ব্যয় ৯১২৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধনের নির্দেশ দেয়। সে নির্দেশনা মোতাবেক নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা ডিপিপি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রকল্পের আওতায় ১৬০০টি সোলার ইলেকট্রিক প্যানেল, ৮০০ বিদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহণ, ৪০ হাজার বিদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহণ সুবিধা, ২৪০০ বিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড রেইজিং, ২৪০০ বিদ্যালয়ে ভূমি উন্নয়ন, ৩০০০ বিদ্যালয়ে শিশুদের প্রে-কর্নার, ১৬০০ বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়া।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, পিইডিপি-৩ এর আওতায় এ ধরনের আরও কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে, যা সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।