২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্লিজ ফিরে আসুন রনি ভাই…

কাজী আবদুল্লাহ : চট্টগ্রামে রনি, কক্সবাজারে রনি, কুমিল্লায় রনি, সিলেটে রনি, রাজশাহী রনি, বরিশাল রনি, যশোরে রনি, রংপুরে রনি, ফেনীতে রনি, লক্ষীপুরে রনি, নারায়ণগঞ্জে রনি, নোয়াখালীতে রনি, খুলনাতে রনি। সর্বোপরি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় রনি, দেশে রনি, বিদেশেও রনি। সর্বত্র শুধু রনি আর রনি! কে এই রনি?
এই রনিই ছাত্র রাজনীতির অহংকার, এই রনি রাজনীতি বিমুখ হাজারো ছাত্রকে রাজনীতিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের পথ তৈরি করে দেয়া এক অপ্রত্যাশিত মহানায়ক। এই রনিরা সহজে আমাদের সমাজে আসে না, এ রনিদের আমাদের সমাজ স্বাগত ও জানায় না!
এ সমাজে গুণীর কদর কখনোই ছিল না। আর গুণীর অভাবে অসুস্থ সমাজে আমরা বেঁচে থাকি যুগের পর যুগ দাস হয়ে। আমাদের মুক্তি ঘটেনি। আমরা রাস্তায় জিম্মি হই, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জিম্মি হই, আমরা হাসপাতালে জিম্মি হই, আমরা জিম্মি হই খেলার মাঠে, জিম্মি হই কর্ণফুলী দেখতে গিয়ে ছিনতাইকারীর হাতে, আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে গিয়ে জিম্মি হয় টুকাইদের হাতে।
সবই ওই রাজনীতির খেলা! নিয়মিত রাজনীতি বাঙালির কাছে একজন চোরের গল্প, চোরের আইন, চোরের নীতি, চোরের ত্রাস, আবার চোরটায় মহারাজ, আমার ভাই, তোমার ভাই, নয়নমণি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা আর স্বপ্ন দেখিনা, স্বপ্ন দেখার স্বভাব ত্যাগ করেছি বহুআগেই। কারণ আমরা ধরেই নিয়েছিলাম যে, এদেশে থাকলে এভাবেই থাকতে হবে, এ দেশ সাধারণ মানুষের দেশ নয়।
হঠাৎ কেউ একজন ঘুম ভাঙালো। স্বাভাবিক, নিয়মিত চিন্তা, চেতনা থেকে বের হয়ে একজন ডাক দিলো, বদলে যাওয়ার গল্প শুনালো, অনিয়ম দাঁত ভেঙ্গে নিয়ম প্রতিষ্ঠার কথা দিল।
কাহিনী শুরু! ঘুমন্ত জাতিকে জাঁগিয়ে তোলার অপরাধে তাকে নয়নমণি, আমার ভাই, তোমার ভাইয়েরা চক্রান্ত করে নিভিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হলো। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামাত-শিবিরের দালালদের বিরুদ্ধে যে রীতিমত ঝড় তুলল, তাকেই জামাত-শিবির উপাধি দিল।
এই চট্টগ্রামে তবে ছাত্রলীগ কে? ছাত্রলীগের অহংকার কে এই চট্টগ্রামে? কে মাঠে নেমে চট্টগ্রাম কলেজ ও মুহসিন কলেজকে ২৮ বছর পর জামাত-শিবির মুক্ত করে? প্রচারবিমুখ প্রচলিত বেআইনি শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কে ডাক দিয়েছিল? মেধা, মননের সংযোগে ছাত্র রাজনীতির হারানো গৌরব চট্টলায় প্রতিষ্ঠিত করেছে কে? উপরিউক্ত প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে এই রনি। যেই রনি সারা বাংলায় প্রিয় মুখ, সবার আলোচনার বিষয়বস্তু। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রগতিশীল সমাজ। এই রনি চক্রান্তের কাছে হেরে গেলে হেরে যাবে মুজিব, হেরে যাবে ছাত্র-রাজনীতি, থেমে যাবে তরুণ প্রজন্মের এগিয়ে চলা, থেমে যাবে নতুন করে সমাজ কল্পনা করা ইচ্ছুকেরা।
মেধাশূন্য রাজনীতি আবার আমাদের শাসন করবে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। ছাত্রনেতা বলে কাউকে লাখপতি ভাবাটা ভুল! যারা ছাত্ররাজনীতি করে তাদের কেহ জিজ্ঞেস করেনা, তুমি কিভাবে চালিয়ে নিচ্ছ? তবুও ছাত্রনেতাদের মুখ খুলে কাউকে বলা হয়ে উঠেনা যে, পকেট একদম ফাঁকা! নিষ্পাপ চেহারার প্রিয় মুখ গুলোর কেউ পায়ে হেটে আসে, কেহ গাড়ি নিয়ে, এসে তারা মিছিল/মিটিং করে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। তারা কেউ পানি খাবে, কেউ চা-পাউরুটি খাবে, কেউ ভাত খাবে, কেউ গাড়ী ভাড়া চাই, তাদের নেই কথাটি কিভাবে বলা যায়?
যেখানে সিনিয়র নেতার করুণ অবস্থা, সেখানে এই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছোট ভাই গুলোর অবস্থা কেমন হতে পারে? ভাবুন..! যেভাবে হোক, চালিয়ে নিতে হয়। একজন ছাত্রনেতার আগামীকাল সকালের কর্মসূচীর খরচ কিভাবে চালাবে, তা ভেবে গভীর রাতেও ঘুম হয়না। এমন লাখো ছাত্রনেতা আছে এই দেশে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেনা, আসলে তাদের পরিবার সেই শিক্ষা দেয়নি। নীতি আদর্শচ্যুত কখনো হয়নি। তবে অধিকার আদায়ে যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারে এসব নেতাকর্মী। বুকের ব্যাথা নীরবে সহ্য করে, দায়িত্বপালন করে যায় বীর দর্পে। দিন শেষে আদর্শবান মানুষগুলা হেরে যায়। হেরে গেলেন আদর্শবান রনি ভাই ও? রনি ভাই আপনি তো হেরে যাওয়ার মানুষ নয়, ষড়যন্ত্রকারীরা তো থাকবেই আপনার পিছনে, কতই তো ষড়যন্ত্র হয়েছিলো, হচ্ছে… আপনি তো ভাই সকল ষড়যন্ত্রেরর দাতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিলেন, দিচ্ছেন…।
আপনি আপনার প্রানের সংগঠন ছাত্রলীগ এর সাথে অভিমান করতে পারেন না…! ফিরে আসুন রনি ভাই।
ভাই আপনি যদি না ফিরেন তবে হেরে যাবে ছাত্রলীগ, হেরে যাবে অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসংখ্য রনি। ভাই আপনাকে চট্রগ্রামের ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য নগর ছাত্রলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি হয়ে আরো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। আপনি শুধু চট্রগ্রামের ছাত্রলীগের রনি নন, আপনি এখন সারা বাংলার ছাত্রসমাজের অনুপ্রেরনার ও ভালবাসার একজন রনি। প্লিজ ভাই, আপনি আপনার সিদ্ধান্ত বদলে ফিরে আসুন আপনার প্রিয় ছাত্রসমাজের কাছে ফিরে আসুন, আপনি এভাবে অভিমান করে চলে গেলে আর কেউ পিতা মুজিবের আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্রদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হবার সাহস পাবেনা। প্লিজ ভাই ফিরে আসুন…

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।