৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান

ফাঁসির মঞ্চে যারা হাসিমূখে জীবন দেয় তাদের রুখতে সাধ্য কার

10407541_648160341994525_529275025322266699_n

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি ও ইসলামী চিন্তাবিদ মরহুম মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের গায়েবানা জানাযা বিকাল ৩টায় কক্্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিভিন্নস্তরের হাজার-হাজার জনতা স্বতঃর্স্ফূতভাবে অংশগ্রহণ করেন। সাধারণ জনতার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ২০দলীয় জোটভূক্ত নেতাকর্মীরাও জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। জানাযাপূর্ব সমাবেশে হাজার হাজার শোকাহত জনতার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কক্্সবাজার জেলা আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, জামায়াতনেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রক্ত বৃথা যাবে না। শহীদ কামারুজ্জামানের রক্তের বিনিময়ে এদেশে ইসলামের বিজয় আসবে। যারা হাসিমূখে ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে যায় তাদের অগ্রযাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না। গুম, খুন, ফাঁসি ও অপহরণ করে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ছিলেন বিস্ময়কর বহুমূখী প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব । তাঁর সাহসিকতা, অমায়িক ব্যবহার ও চিন্তাধারা দেশের সীমানা পেরিয়ে বর্হিবিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি নতুন প্রজন্মকে ইসলামি ভাবধারায় গড়ে তুলতে সচেষ্ট ছিলেন। উদার গণতান্ত্রিক ইসলামী বাংলাদেশের স্বপ্ন লালণ করেছেন আজীবন। তাঁর বহুমূখী যোগ্যতাই আ’লীগ সহ্য করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র । এত কম বয়সী একজন ছাত্র কিভাবে শত-শত মানুষ হত্যা করে, অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করে দেশবাসীর মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। একজন নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দিতে যারা সহযোগিতা করেছে কাল কিয়ামতের ময়দানে মহান আল-লাহর আদালতে অবশ্যই তারা যথাযথ শাস্তি পাবেন। তিনি নেতাকর্মীদেরকে শোককে শক্তিতে পরিণত করে জুলুমবাজ ফ্যাসিবাদী আ’লীগের বিরুদ্ধে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরো বেগবান করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান এবং মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে অন্যায়ভাবে হত্যার প্রতিবাদে জামায়াত ঘোষিত সোমবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য জেলাবাসী প্রতি আহবান জানান।
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল বলেছেন, জামায়াতনেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান একজন আধুনিক মনষ্ক জাতীয় নেতা ছিলেন। ইসলাম ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আতœত্যাগ জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে। যুদ্ধাপরাধ নয় জামায়াতের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে আ’লীগ পরিকল্পিতভাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করছে। তিনি সকলকে আওয়ামী জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
জেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আবদুল-লাহ আল ফারুক ও শহর শিবির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জানাযাপূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল-লাহ, নেজাম ইসলামী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াছিন হাবিব, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, পৌর বিএনপি সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, সেক্রেটারি রাশেদ মুহাম্মদ আলী, আইনজীবি থানা আমীর অ্যাডভোকেট ইবরাহীম খলিল, রামু উপজেলা আমীর ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল-লাহ মুহাম্মদ হাসান, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াতনেতা অ্যাডভোকেট সলিমুল-লাহ বাহাদুর, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর, সাবেক শহর সভাপতি আনম হারুণ, জেলা সেক্রেটারি আজিজুর রহমান প্রমূখ। জানাযায় ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও সাবেক ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল গফুর।
জেলার বিভিন্নস্থানে গায়েবানা জানাযা:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের গায়েবানা জানাযা জেলার বিভিন্নস্থানে অনুষ্ঠিত হয়। এসকল গায়েবানা জানাযায় হাজার-হাজার শোকাহত জনতা ও সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
চকরিয়া: শহীদ কামারুজ্জামানের গায়েবানা জানাযা চকরিয়া পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন মাওলানা জসিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আরিফুল কবির, শিবির সভাপতি শাহেদ উদ্দিন রাজুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
মহেশখালী: উপজেলার নতুনবাজার মাঠে মাওলানা বদিউল আলমের ইমামতিত্বে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা আমীর ডা. আবদুল আজিজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহির আহমদ, মাষ্টার শামীম ইকবাল, মাষ্টার আজিজুল হক, ইসমাঈল আজাদ, আবদুল মালেক, নুরুল ইসলাম, শিবির সভাপতি আবদুর রহিম, সেক্রেটারি আলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপজেলার শাপলাপুরে প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা বদিউল আলমের ইমামতিত্বে পৃথক গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সর্বস্তরের শোকাহত জানতা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া উপজেলার কালামারছরা ইউনিয়নে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন হাফেজ ওসমান গণি। উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী উত্তর আমীর আবদুশ শাকুর, ডা. জয়নাল, হাফেজ জয়নাল, শিবির সভাপতি আনছার উল-লাহ প্রমূখ। অপরদিকে একই ইউনিয়নে মাওলানা রশিদ আহমদের ইমামতিত্বে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নলবিলাতেও পৃথক গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা নুর মুহাম্মদ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুন্নবীসহ সর্বস্তরের জনতা।
কুতুবদিয়া: উপজেলার ধুরুং স্কুল মাঠে বিশাল গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি আবুহেনা মোস্তফা কামাল। ইমামতি করেন উপজেলা আমীর মাওলানা আনোয়ার হোছাইন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি আসম শাহরিয়ার চৌধুরী, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাব সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাসান, জামায়াতনেতা ইবরাহীম কুতুবী, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আবদুস সাত্তার, ইসমাঈল কুতুবী, মাওলানা কলিম উল-লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, শিবির সভাপতি রেজাউল করিম প্রমূখ।
পেকুয়া: উপজেলার ফাঁসিয়াখালী স্কুল মাঠে বারবাকিয়া চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলমের ইমামতিতে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জমান মনজু, ডা.নুরুল কবির, মুহাম্মদ শওকত, শিবির সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদগাঁও: ঈদগাঁও হাই স্কুল মাঠে বিশাল গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এেেত ইমামতি করেন মাওলানা মুহাম্মদ আব্বাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল-লাহ, সহকারি সেক্রেটারি অ্যাড. ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, থানা আমীর মাওলানা সেলিম উল-লাহ জিহাদী, সাবেক আমীর ডা. আমীর সোলতান, সেক্রেটারি মাষ্টার ছৈয়দ আলম,শিবির সভাপতি লুৎফুর রহমান প্রমূখ।
উখিয়া: উপজেলা কোটবাজার বালিকা মাদরাসা মাঠে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আবুল ফজল। উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা আমীর অ্যাড. মুহাম্মদ শাহজাহান, সেক্রেটারি মাওলানা সোলতান আহমদ, মাষ্টার খাইরুল বশর, উত্তর শিবির সভাপতি সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণ সভাপতি আবদুল-লাহ আল জোবাইর প্রমূখ।
টেকনাফ: উপজেলার হ্নীলা বাহারুল উলুম মাদরাসা মাঠে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারি। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ নুর হোছাইন ছিদ্দিকী, সেক্রেটারী মাওলানা আবদুস সোবহান, মাওলানা সাঈদ আহমদ তারেক, শিবির সভাপতি রবিউল আলম প্রমূখ।
এছাড়া উপজেলার বাহার ছরাতে মাওলানা মোস্তাক আহমদের ইমামতিতে পৃথক গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।