আবারো ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লো ফেসবুক। এবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোশাল মিডিয়াকে ধুয়ে দিলেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা। তাদের অভিযোগ, ফেসবুকে প্রকাশিত অসংখ্য চরমপন্থী পোস্টগুলো সরিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি শুধু ফেসবুক নয়, টুইটার বা ইউটিউবের মতো জায়ান্ট সাইটগুলো তাদের নীতিমালার কারণে সমালোচিত হচ্ছে। আপত্তিকর ও হিংসাত্মক উপাদানে ভরপুর থাকে সাইটগুলো। এগুলো সরিয়ে ফেলাই নিয়ম। কিন্তু দেখার পরও অনেক কিছুই থেকে যায়।
ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের এক কমিটি তাদের রিপোর্টে জানায়, চরমপন্থী বিভিন্ন উপাদান অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে ফেসবুকে। এগুলো বার বার ঘটে এবং কর্তৃপক্ষ কোনো নজর দেয় না। জিহাদি বক্তব্য বা নব্য নাৎসীদের বিভিন্ন গ্রুপ এতে সক্রিয় আছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সোশাল মিডিয়াগুলো।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হোম অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ারওম্যান উইভেটে কুপার বলেন, সোমাল মিডিয়াগুলো অবৈধ, অনৈতিক ও মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের বহুবার এসব ক্ষতিকর উপাদান সরিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী পদ্ধতি প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘচেই চলেছে। বিষয়টি লজ্জাজনক।
পাশাপাশি সোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ সরকারকে আরো কঠোর হতে পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। যারা এসব ক্ষতিকর উপাদান সরাতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বাস্তবায়নের কোনো উপায় না থাকারই কথা। কিন্তু চোখের সামনে এ সুযোগ পাচ্ছে তারা এবং কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ইন্টারনেটকে সন্ত্রাসীদের প্রমোশনের অস্ত্র হিসাবে আর ব্যবহার করতে দেওয়ার বিষয়টি আর মেনে নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট, বলেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আম্বার রুড।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।