২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

‘বঙ্গবন্ধু ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাবন্দি ছিলেন’

জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২দিন কারাভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার স্কুলজীবনে ব্রিটিশ আমলে ৭দিন কারা ভোগ করেন। বাকি ৪ হাজার ৬৭৫দিন কারা ভোগ করেছেন পাকিস্তান সরকারের আমলে।’ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর তোফায়েল আহমেদ বলেন, কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে বসেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলার পরিকল্পনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জীবনের ১৪টি বছর কারাগারে ছিলেন। স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ১৯৩৮ সালে সর্ব প্রথম কারাগারে যান। ওই সময় তিনি ৭দিন কারাভোগ করেন। এরপর ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি ৫দিন কারাগারে ছিলেন। একই বছর ১১ সেপ্টেম্বর কারাগারে গিয়ে তিনি মুক্তিপান ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি। এ দফায় তিনি ১৩২ দিন কারাভোগ করেন।’

তোফায়েল আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালের ১৯ এপ্রিল আবারও কারাগারে গিয়ে ৮০দিন কারাভোগ করে মুক্তি পান ওই বছরের ২৮ জুন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি আবারও ২৭দিন কারাভোগ করেন। ১৯৪৯ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৩ দিন তিনি কারাভোগ করেন। ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি টানা ৭৮৭দিন বঙ্গবন্ধু কারা ভোগ করেন। এরপর ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পরও বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে যেতে হয়। এ দফায় বঙ্গবন্ধু ২০৬দিন কারা ভোগ করেন।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারির পর বঙ্গবন্ধু ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন। এ সময়ে একটানা এক হাজার ১৫৩দিন তাকে কারাগারে কাটাতে হয়।’ তোফায়েল আহমেদের তথ্য অনুযায়ী এ দফায়ই বঙ্গবন্ধু একটানা সব চেয়ে বেশি সময় (৩ বছরের বেশি) কারাভোগ করেন।’ তিনি জানান, ‘১৯৬২ সালের ৬ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আবারও গ্রেফতার হয়ে ওই বছরের ১৮ জুন মুক্তি পান। এ দফায় তিনি কারাভোগ করেন ১৫৮দিন। এরপর ৬৪ ও ৬৫ সালে বিভিণ্ন মেয়াদে তিনি ৬৬৫দিন কারাগারে ছিলেন।’

বঙ্গবন্ধু মুক্তির সনদ ৬ দফা দেওয়ার পর এর পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে দেশের বিভিন্নস্থানে সমাবেশ করতে গিয়ে কয়েক দফায় গ্রেফতার হন উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘৬ দফা দেওয়ার পর জাতির পিতা বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করতে গেলে পাকিস্তান সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। মুক্তি পেয়ে আবারও জনসভা করেছেন। এভাবে ৩২টি জনসভা করে বিভিন্ন মেয়াদে তিনি ৯০দিন কারাভোগ করেছেন। এরপর ৬৬ সালে ৮ মে আবারও গ্রেফতার হয়ে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। এ সময় তিনি এক হাজার ২১দিন কারাগারে ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই পাকিস্তান সরকার তাকে গ্রেফতার করে। তাকে পাকিস্তানের মিয়ানালি কারাগারে একটি সেলের মধ্যে রাখা হয়। এ দফায় তিনি ছিলেন ২৮৮দিন।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।