কক্সবাজারের কূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে গত দুইদিনে অর্ধশতাধিক ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ও আগেরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া ও পাটুয়ারটেকের মাঝামাঝি অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের মারধরে শতাধিক মাঝিমাল্লা আহত হয়েছে। ডাকাতেরা ট্রলারের মাছ, জাল, রসদপত্রসহ অন্তত ৫ কোটি টাকার মালামাল লুট করেছে বলে জানায় কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি। কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া ও পাটুয়ারটেকের মাঝামাঝি অঞ্চলে শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার এই দুইদিনে কক্সবাজারের অন্তত অর্ধশতাধিক ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতেরা ট্রলারের জাল, মাছ, যন্ত্রাংশ, রসদপত্র, মাঝিমাল্লাদের ব্যবহৃত মোবাইল সেটসহ সর্বস্ব লুট করে। এ সময় ডাকাতদের মারধরে শতাধিক মাঝিমাল্লা আহত হয়েছেন। তিনি আরো জানান, গত দুইদিনে শহরের এন্ডারসন রোডের হাজী আবু তাহের সওদাগরের মালিকানাধীন এফবি ছেনুয়ারা ও এফবি ছকিনা, পেশকারপাড়ার ফজল করিমের মালিকানাধীন এফবি ছমিলা, একই এলাকার মোহাম্মদ আলমের মালিকানাধীন এফবি শামীম, আবদুল মাবুদের মালিকানাধীন এফবি আত্তি, নুরুল আবছারের মালিকানাধীন এফবি জান্নাত, আলহাজ্ব ফরিদ আলমের মালিকানাধীন এফবি শারমীন, তার ভাই শহীদুল ইসলামের মালিকানাধীন এফবি জাভেদ, শহরের মাঝিরঘাটের মাহমুদুল হকের মালিকানাধীন এফবি রুবি আকতার, টেকপাড়ার মোহাম্মদ সরওয়ারের মালিকানাধীন এফবি আকিভ, কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের নুরুল আলমের মালিকানাধীন এফবি ফৌজি আলম, শহরের নতুন বাহারছড়ার বজল করি ভূট্টোর মালিকানাধীন এফবি তানজিয়া, একই এলাকার আয়ূব আলীর মালিকানাধীন এফবি মিসকাত, নতুন ফিশারীপাড়ার আমির হোছনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া, উত্তর নূনিয়াচড়ার হোছন বহদ্দারের মালিকানাধীন এফবি মোবারেকাসহ অন্তত অর্ধশত ট্রলার ডাকাতির শিকার হয় বলে জানান কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ।তিনি আরো জানান, এফবি মোবারেকা চলতি মাসের ৬ তারিখও একইভাবে ডাকাতির শিকার হয়। জেলা বোট মালিক সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান সাম্প্রতিককালে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের ‘রামরাজত্ব’ কায়েম হয়েছে মন্তব্য করে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই সাগরে ১/২টি করে ট্রলার ডাকাতি হয়। মাত্র ২০দিন আগেও একই সঙ্গে ১২টি ট্রলার ডাকাতির শিকার হয়েছে। তবে একই সঙ্গে অর্ধশতাধিক ট্রলার ডাকাতির ঘটনা গত দেড়বছরে আর ঘটেনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।