বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা থেকে জানা গেছে, উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও দক্ষিণ ওডিশা উপকূলের অদূরে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় এই লঘুচাপর সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে প্রচুর মেঘমালা তৈরি হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গত মে মাসের শেষ দিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি পরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ‘মোরা’ নামের এই ঘূর্ণিঝড় ৩০ মে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
নতুন করে সৃষ্টি হওয়া এই লঘুচাপও নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, রোববার রাত অথবা পরদিন ভোরবেলা এটির গতিপথ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে গতিপথ যেখানেই হোক না কেন, লঘুচাপের প্রভাবে দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া কাল থেকে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকালে পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে ভ্যাপসা গরম পড়ার কারণ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ওপর এখনো পর্যন্ত মৌসুমি বায়ুর বিস্তার হয়নি। মৌসুমি বায়ুর পুরোপুরি বিস্তৃত হলে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এটি ছিল ৩৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।