চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বদরখালীর দক্ষিনে প্রকাশ্যে প্যরাবন কেটে চিংড়ি প্রকল্প নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত দুইমাস ধরে একটি প্রভাবশালী মহল দুটি স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে এভাবে প্যারাবন উজাড় করে চিংড়ি প্রকল্প তৈরীতে নামলেও চট্টগ্রাম উপকুলীয় বনবিভাগের লোকজন রয়েছে একেবারে দর্শকের ভুমিকায়। অভিযোগ উঠেছে, জড়িতরা ইতোমধ্যে উপকুলীয় বনবিভাগের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে উপকুলীয় অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট নিধনে মেতে উঠেছে। এ অবস্থার কারনে বর্তমানে উপকুলীয় অঞ্চলের সবুজ বেষ্টনী চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় সুত্রে অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বদরখালীর দক্ষিনে উপকুলীয় বনবিভাগের অধীন মহেশখালী গোরকঘাটা রেঞ্জের জেমঘাটের পূর্ব পাশের বিশাল আয়তনের প্যারাবন ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী চক্র। গত দুইমাস ধরে দখলে নেয়া এসব প্যারাবনে চিংড়ি প্রকল্প তৈরী করার জন্য অভিযুক্ত প্রভাবশালী চক্র দুটি স্কেভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে মাটি কেটে এবং ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের সৃজিত বাইন ও কেইড়া গাছ কেটে জায়গা সমতল করছে। পাশাপাশি জায়গা সমতল করে নেয়া মাটি দিয়ে চিংড়ি প্রকল্পের চারিদিকে বাঁধ ও ক্যানেল নির্মাণ করা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, প্যারাবন কেটে চিংড়ি প্রকল্প তৈরীর সাথে চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা এলাকার আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে কাজের তদারকিতে রয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে প্যারাবন কাটার ছবি তুলতে গেলে উপস্থিত কিছু লোক বাঁধা দেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন সংবাদকমী।
জানতে চাইলে উপকুলীয় বনবিভাগের শাপলাপুর বনবিট কর্মকর্তা জানান, প্যারবন কেটে চিংড়ি প্রকল্প তৈরীতে জড়িতরা প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিকভাবে দাপটশালী। যেই এলাকায় প্যারাবন নিধন করা হচ্ছে সেখানে যেতে প্রয়োজনীয় জনবল ও অস্ত্রশস্ত্র থাকা দরকার। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে যেতে তারা সাহস পাচ্ছেনা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।