কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে বিচারিক আদালতে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দেওয়া খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৩ নভেম্বর) কার্যতালিকায় আনার নির্দেশ দেন।পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আবেদনটি আদালতে উপস্থাপনে বুধবার কার্যতালিকায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীকাল এ আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হতে পারে। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহান। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে এ মামলা হয়। মামলায় গত ২ নভেম্বর সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে আবদুর রহমান বদিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দু’টি ধারায় মামলাটি করেছিল দুদক। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ধারাটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি এমপি বদির বিরুদ্ধে।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর আপিল করেন বদি। ১৬ নভেম্বর বুধবার শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করে হাইকোর্ট বদিকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে জরিমানা স্থগিত করেন। পরের দিন দুদক বদির অবৈধ সম্পদ অর্জনের খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।