কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন সন্দেহভাজন মানব পাচারকারী নিহত হয়েছেন।
তারা তিনজনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মানবপাচারকারী বলে টেকনাফ থানার ওসি মো. আতাউর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের ২০ হ্যাচারি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া এলাকার ধলু হোসেন (৪৫), কাটাবুনিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৪০) ও হারিয়ারখালী এলাকার জাফর আলম (৩৯)।
এদের মধ্যে ধলুর বিরুদ্ধে মানব পাচারের নয়টি, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আটটি এবং জাফরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি আতাউর।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফের ২০ হ্যাচারি এলাকায় তাদের ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ।
“এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে গুলিতে তারা নিহত হন।”
এ সময় টেকনাফ থানার ওসিসহ পুলিশের তিন কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক, বেশ কয়েকটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে থাইল্যান্ডের সংখলা প্রদেশে পাহাড়ি জঙ্গলে বন্দি শিবিরের খোঁজ পায় পুলিশ। গত ১ মে এক শিবিরে একটি গণকবর থেকে ২৬ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
এই বন্দিশিবিরে পাচার বা অপহরণের শিকার হওয়া পাঁচ শতাধিক অভিবাসীকে মেরে ফেলা হয়ে থাকতে পারে বলে বেঁচে যাওয়া একজনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
এসব বন্দির অধিকাংশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি বলেও এসব প্রতিবেদনে বলা হয়।
ওই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “থাইল্যান্ডে অবৈধভাবে যারা লোক পাঠিয়েছেন,সেসব অপরাধীদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।