জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ১৪০টি রেলস্টেশনের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ৬০টির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। সকালে পলাশের ঘোড়াশাল রেলস্টেশন থেকে একযোগে স্টেশনগুলো চালু করবেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
জানা যায়, সারাদেশের ৪৬০টি রেলস্টেশনের মধ্যে ১৮৮টি স্টেশন দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ। এর মধ্যে সরকার ১৪০টি স্টেশন পর্যায়ক্রমে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলেই বন্ধ স্টেশনের সংখ্যা বেশি। ঘোড়াশালের স্টেশন মাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, আজ থেকে ঢাকা বিভাগের ২১টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২টি, পাকশীর ২৩টি ও লালমনিরহাটের ৪টি স্টেশন একযোগে চালু হবে। রেলমন্ত্রী সকাল ১১টায় ঘোড়াশাল রেলস্টেশন চালুর কার্যক্রম উদ্বোধনের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সারা দেশের বাকি ৫৯টি স্টেশন একযোগে উদ্বোধন করবেন।
রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, রেলওয়ের ক্যাটাগরি অনুয়ায়ী সবগুলো স্টেশনই ‘বি’ শ্রেণির। এসব বন্ধ স্টেশন চালু হলে পূর্ব ও পশ্চিমের সব রেলের ‘রানিং টাইম’ কমে আসবে। ট্রেনগুলো দ্রুত ক্রসিং নেওয়ার সুবিধা পাবে।
রেল সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগে যে ২১টি স্টেশন চালু হচ্ছে সেগুলো হলো টঙ্গী-ভৈরব সেকশনের ঘোড়াশাল, আমীরগঞ্জ, শ্রীনিধি। টঙ্গী-ময়মনসিংহ সেকশনের ভাওয়াল, গাজীপুর, সাতখামাইর, ধলা, উমেদনগর। ময়মনসিংহ, জামালপুর সেকশনের পিয়ারপুর। জামালপুর-ময়মনসিংহ সেকশনের কেন্দুয়াবাজার, ভুয়াপুর। ময়মনসিংহ ভৈরব বাজার সেকশনের মধ্যে বিস্কা, সোহাগী, নান্দাইল রোড, কালিকাপ্রসাদ। শ্যামগঞ্জ মোহনগঞ্জ সেকশনের ঠাকুরকোনা, বারহাট্টা। আখাউড়া শায়েস্তাগঞ্জ সেকশনের মধ্যে শাহাজীবাজার, মুকুন্দপুর। শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট সেকশনের মধ্যে সাতগাঁও, লংলা ও বরমচাল স্টেশন। আর চট্টগ্রামের বিভাগের যে ১২টি স্টেশন চালু হচ্ছে সেগুলো হলো, চট্টগ্রাম-লাকসাম সেকশনের মুহুরীগঞ্জ, ফাজিলপুর, শর্শদী, নাওটী। লাকসাম-আখাউড়া সেকশনের মধ্যে ময়নামতি। লাকসাম নোয়াখালী সেকশনের মধ্যে দৌলতগঞ্জ, খিলা, নাথেরপেটুয়া, বজরা। লাকসাম-চাঁদপুর সেকশনের মধ্যে শাহাতলী। চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সেকশনের মধ্যে সরকারহাট ও ঝউতলা। পাকশী বিভাগের যে ২৩টি স্টেশন চালু হচ্ছে সেগুলো হলো, খুলনা-দর্শনা সেকশনের ফুলতলা, রূপদিয়া, মেহেরুল্লানগর, সফদারপুর ও আনসারবাড়ীয়া। দর্শনা-ইশ্বরদী সেকশনের মধ্যে মিরপুর ও পাকশী। ইশ্বরদী-সান্তাহার সেকশনের মধ্যে আজিমনগর, মাধনগর ও রানীনগর। সান্তাহার-পার্বতীপুর সেকশনের মধ্যে হিলি ও ভবানীপুর। পাবতীপুর-চিলাহাটি সেকশনের মধ্যে ডোমার রেলস্টেশন। আব্দুলপুর-চাপাই সেকশনে কাঁকনহাট। আমনুরা-রহনপুর সেকশনে নাচোল। যশোর বেনাপাল সেকশনের মধ্যে বেনাপোল। পোড়াদহ-গোয়ালন্দঘাট সেকশনের মধ্যে কুমারখালী, খোকসা, পাংশা ও পাঁচুরিয়া জংশন। পাঁচুরিয়া-ফরিদপুর সেকশনে মধ্যে আমিরাবাদ ও ফরিদপুর। কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া সেকশনের মধ্যে মধুখালী জংশন। রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের যে ৪টি স্টেশন চালু হচ্ছে সেগুলো হলো সান্তাহার-বোনারপাড়া সেকশনের মধ্যে আলতাফনগর, ভেলুরপাড়া ও মহিমাগঞ্জ। লালমনিরহাট-বুড়িমারি সেকশনের মধ্যে আদিতমারি অন্নদানগর এই ৪টি বন্ধ স্টেশনও আজ চালু করা হবে বলে সূত্র জানায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।