বার্তা পরিবেশক:
বন্ধি দশা থেকে পালিয়ে এসে থানায় আশ্রয় নিলেন জামাল উদ্দিন নামের এক সিএনজি চালক। এই ঘটনা নিয়ে সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলাম কাজল সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সে কক্সবাজার সদরের কাছাকাছি এলাকা পিএমখালীর ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাতেলী এলাকার নুরুল হুদার ছেলে। সে বর্তমানে রাজারকুল ৩নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়ায় বসবাস করে।
গত ১১ জুলাই (সোমবার)ঈদুল আযহা’র পরের দিন রাত ১০টায় এই অপহরণের ঘটনার দাবি করলেও ঘটনার বহুদিন পর বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করা ঘটনা নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে-গত ১১ জুলাই রাত ১০টার দিকে অপহরণ চক্রের সাইফুল ইসলাম প্রকাশ কাজল(পূর্ব পরিচিত) আমাকে ঘর থেকে জরুরী কথা আছে বলে বাড়ির পাশের রেললাইনে নিয়ে যায়।পরে কথার একপর্যায়ে ৬/৭জন লোক আমাকে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার মুখ বেঁধে একটি সিএনজিতে তুলে গহীন জঙ্গলের একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে বেঁধে রাখে,এবং আমাকে বেধড়ক মারধর করে বলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে,না দিলে আর প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবি না।একপর্যায়ে তারা আমার মোবাইল নিয়ে আমার বউয়ের কাছে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে,এবং না দিলে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে মোবাইল কেটে দিয়ে আমাকে ঝুপড়ি ঘরে রেখে বাহিরে চলে যায়।এই সময়ে আমি অনেক কষ্ট করে বাঁধন খোলে কোনরকম প্রাণ বাঁচিয়ে ঘরে ফিরে আসি।সেইদিনে আমরা এবিষয়ে রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বারকে অবগত করি। এরপর থেকে অপহরণকারীরা মোবাইলে কল দিয়ে আমাদের নানান প্রকার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, এবং আইনের আশ্রয় নিলে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমাদের জানমাল রক্ষায় কোন উপায় না পেয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিন ও তার পরিবার তাদের জানমাল রক্ষায় ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার সহ রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)সহযোগীতা কামনা করেছেন জামালের পরিবার।নানা ভাবে চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।