নো মেসি নো চান্স। আর্জেন্টিনার গায়ে এ তকমাটা প্রায় সেটে গেছে। আর হবেই না কেন? এ ম্যাচে নামার আগে মেসিহীন আর্জেন্টিনা জয় দেখেছে মাত্র ১৪ শতাংশ ম্যাচে। এবারও দলটি মেসির ছায়া থেকে বের হয়ে আসতে পারলো না। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে ০-২ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন কঠিন করে ফেললো দলটি।
মঙ্গলবার বলিভিয়ার বিপক্ষে বাছাই পর্বের ম্যাচে মাঠে নামার আগে বড় দুঃসংবাদ। আগের ম্যাচে রেফারির সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে নিষেধাজ্ঞার খড়গে পরেন লিওনেল মেসি। ফলে এ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি না দলের নিয়মিত অধিনায়ক। তবে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে ব্যর্থ হয় দলটি।
এদিন শুধু মেসিই নয় দলের অনেক সেরা তারকাদের পাননি কোচ এডগার্ডো বাউসা। হলুদ কার্ডের সমস্যা আর ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় সারির দল নামাতে হয় আর্জেন্টিনাকে। তার উপর প্রথম একাদশে ছিলেন না সের্জিও আগুয়েরোও।
এছাড়াও হালের নতুন তারকা পাবলো দিবালা কিংবা ফাইটার খ্যাত এজেকুয়েল লাভেজ্জিকে টপকে প্রথম একাদশে সুযোগ পান অ্যাঞ্জেল কোরেয়া ও লুকাস প্রাতো। তবে তাদের নিয়ে গড়া আক্রমণ ভাগ এক রাশ হতাশাই উপহার দেয়।
মেসিসীন আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। তবে ধীরে ধীরে কিছুটা গোছাতে থাকলেও ৩১ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে দলটি। পাবলো এসকোবারের ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন হুয়ান কার্লোস আর্সে।
পিছিয়ে পড়েও আক্রমণের ধারা বাড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। উল্টো ৩৬তম মিনিটে রামিরো ফানেস মরির ইনজুরিতে পরে মাঠ ছাড়লে আরও শক্তি খর্ব হয় সফরকারীদের। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও খুঁজে পাওয়া যায়নি আর্জেন্টাইনদের। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে সাত মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে বলিভিয়া। এনরিক ফ্লোরেসের ক্রস থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন মার্সেলো মোনেরো।
এরপর দুইদলই বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হলে ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে। এখন পর্যন্ত বাছাই পর্বের ম্যাচে ১৪টি ম্যাচ খেলেছে দলটি। আর তাতে তাদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। এ ম্যাচে মাঠে নামার আগে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে ছিল দলটি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।