২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে লেজার বেষ্টনী নির্মাণের উদ্যোগ ভারতের

175474_314175474_314বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাথে সীমান্তে ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ টহলমুক্ত, উচ্চ প্রযুক্তির বহু স্তরবিশিষ্ট বিশেষ ধরনের বেষ্টনী নির্মাণ করতে যাচ্ছে ভারত। এই সংশ্লিষ্ট বিশ্বের বৃহৎ ২০টি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি তত্ত্বাবধায়ন করবে। বুধবার ভারতীয় সীমান্তরী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক কে কে শর্মা এ তথ্য জানান। টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডন।
শর্মা বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরই বাহিনী এ প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। এর নাম দেয়া হয়েছে, ‘কমপ্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (সিআইবিএমএস)। নতুন এ ব্যবস্থায় ভারতের দুই ঝামেলাপূর্ণ সীমান্তের নিরাপত্তা দেখাশোনা করবে দ্রুত সাড়া দিতে সম একটি আধুনিক প্রযুক্তি। সীমান্তে অনুপ্রবেশের কোনো সঙ্কেত টহল রাডারে ধরা পড়ার সাথে সাথে সীমান্তরীরা তাদের কাজ শুরু করবে।
বিএসএফ মহাপরিচালকের বর্ণনা অনুযায়ী, লেজার বেষ্টনী, টহল রাডার, উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র এবং থার্মাল গ্যাজেটের (তাপমাত্রা শনাক্তকারী যন্ত্র) সহায়তায় সিআইবিএমএস কার্যকর করা গেলে স্থলসেনারা অনুপ্রবেশের সঙ্কেত পাওয়ার পরই কেবল সাড়া দেবে।
তিনি জানান, সীমান্তরীরা সীমান্তে মাটির নিচে কোনো গোপন টানেলের সংবাদ জানতে পারলে তা কিভাবে শনাক্ত করবেন সে ব্যাপারে ইসরাইলের মতো সীমান্ত প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলো থেকে সহায়তা নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতের উন্নতমানের কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথেও আলাপ করা হচ্ছে।
বিএসএফ মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘আমরা সীমান্ত বেষ্টনী আধুনিকায়নে কিছু যৌথ পদপে নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট ২০টি বড় প্রতিষ্ঠান বর্তমানে সিআইবিএমএসের প্রযুক্তিগত দিকগুলো মূল্যায়ন করছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের শেষ নাগাদ কার্যক্রম শুরু করা যাবে।’
একই ধরনের আরো কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, জম্মু এবং পাঞ্জাব ও গুজরাটে একটি করে সীমান্ত বেষ্টনী নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়া আসামের ধুবরি জেলায়ও এ ধরনের বেষ্টনী নির্মাণ করা হবে।
বিভিন্ন দেশের সাথে ভারতীয় সীমান্তে প্রায় আড়াই লাখ বিএসএফ সদস্য নিয়োজিত আছে। একসাথে একাধিক কাজ করতে গিয়ে মানুষের কিছু সহজাত দুর্বলতা থাকায় নতুন এই পদপে নিয়েছে সরকার। চলতি বছর জম্মু ও কাশ্মিরের সব অনুপ্রবেশের ঘটনা লাইন অব কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ রেখা) দিয়ে ঘটেছে, যেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী। অনুপ্রবেশ বন্ধে ভারত সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে জানান বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।